আসানসোলের অভিজাত হোটেলে শুভেন্দু! সেই হোটেলেই প্রশাসনিক অভিযান ঘিরে বিতর্ক
প্রতিদিন | ২৬ জুন ২০২৫
শেখর চন্দ্র, আসানসোল: দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে আসানসোলের অভিজাত হোটেলে বিশ্রামে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই হোটেলেই আচমকা প্রশাসনিক অভিযান! আর তা নিয়েই রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। জানা যাচ্ছে, দলীয় কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন আসানসোলে। শুক্রবার বিশ্রাম নিয়েছিলেন সেখানকার অভিজাত এক হোটেলে। সেখানেই হঠাৎ অভিযান চালানো হল প্রশাসনের তরফে। তাতেই প্রশ্ন উঠেছে, অন্য হোটেল বাদ দিয়ে নির্দিষ্টভাবে এই বিলাসবহুল হোটেলেই কেন অভিযান চালানো হল?
বৃহস্পতিবার আসানসোলের অভিজাত ও বিলাসবহুল হোটেলে জেলা প্রশাসন এবং আসানসোল পৌরনিগমের যৌথ অভিযান চালানো হয়। হোটেলের সমস্ত কাগজপত্র থেকে দেখা থেকে শুরু করে হোটেলের পানশালা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য পরিষেবা কেমন চলছে, সেখানে কোনও আইনি ফাঁকফোঁকর রয়েছে কি না, সব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখা হয়। তবে হঠাৎ কেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা এখানেই অভিযান চালালেন, তা নিয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি। ‘রুটিন চেকআপ’ বলেই তা এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি শুরু হয়েছে জেলার অন্দরে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কয়েকদিন আগে আসানসোলে মিছিল এবং জনসভা করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বেশ কিছুক্ষণ সময়ের জন্য অভিজাত হোটেলে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এরপর সভামঞ্চে ওই হোটেলের মালিক তথা শিখ ব্যবসায়ীর আপ্যায়ণ নিয়ে সুনামও করেন। তাই কি চক্ষুশূল হলেন ওই ব্যবসায়ী? যদিও প্রশাসনিক অভিযান নিয়ে ওই ব্যবসায়ী কিছু বলতে চাননি।
বিজেপির দাবি, গত শুক্রবার শুভেন্দুর কর্মসূচি আসানসোলের বুকে ইতিহাস রচনা করেছে। তা স্বভাবতই তৃণমূলের চক্ষুশূল হয়েছে। আর সেই কারণেই হোটেলে আচমকা অভিযান চালানো হল, এটা রাজনৈতিক অভিসন্ধি। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই অভিজাত হোটেলের পাশাপাশি আসানসোলের অন্যান্য হোটেলেও অভিযান হয়েছে। বিজেপি নেতাদের দাবি, অন্য একটি হোটেলে নামমাত্র অভিযান শুধুমাত্র ‘আইওয়াশ’। বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ”আমরা অপেক্ষা করব যে আর কোনও হোটেলে এই অভিযান চালানো হচ্ছে কিনা।”
বিষয়টিকে আমল দিতে রাজি নন জেলার তৃণমূল নেতারা৷ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাশন জানিয়েছেন, ”কী কারণে অভিযান, সেটা প্রশাসনই বলতে পারবে। তবে বিজেপির কাছে আর যেহেতু কোনও ইস্যু নেই, তাই তারা প্রশাসনিক এই অভিযানকে ইস্যু বানাতে চাইছে। আমরা জানি, ব্যবসায়ীরা কোনও রাজনৈতিক দলের হয় না। তারা শুধুই ব্যবসা বোঝে। তাই এই হোটেলগুলোর সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগ আছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে না।”