স্টাফ রিপোর্টার: জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিলি নিয়েও বিজেপির দিশাহীন রাজনীতির প্রবল সমালোচনা করল তৃণমূল কংগ্রেস। দিঘার জগন্নাথদেবের প্রসাদ রাজ্যজুড়ে বিলি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি রথযাত্রা নিয়েও দিঘায় তুমুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দিঘার জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ নিয়ে কুৎসা করছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেতারা।
এবার জগন্নাথদেবকে নিয়েও লড়াই শুরু হয়ে গেল বিজেপির। দিঘার পাল্টা পুরীর জগন্নাথদেবের প্রসাদ রথের দিন রাজ্যে বিলি করার কথা এবার ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বিরোধী দলনেতা বলেন, “পুরী থেকে মহাপ্রসাদ আসছে। তমলুকের গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দির থেকে বিলি করা হবে। পাঁচদিন ধরে পুরীর মহাপ্রসাদ বিলি হবে।” শুভেন্দু জানান, শুক্রবার রথের দিন বেলা ১২টার সময় কলকাতায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে রথযাত্রা হবে। ওইদিন দুপুর ৩টের সময় পুরী থেকে মহাপ্রসাদ আসবে। বিকেল ৪টের সময় ইসকনের রথযাত্রা রয়েছে মেছেদায়। সেখানেও তিনি থাকবেন। জগন্নাথদেবকে নিয়েও বিজেপির দিশাহীন রাজনীতির সমালোচনা করেছে তৃণমূল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি ও শুভেন্দুকে নিশানা করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘উনি (শুভেন্দু) দিশাহীন রাজনীতি করছেন। ভোটে হারতে হারতে ভগবানকেও প্রতিপক্ষ ভাবছেন, লড়াই শুরু করেছেন। পুরীর প্রসাদ তাহলে এতদিন দেননি কেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকার যখন বাড়ি বাড়ি জগন্নাথদেবের প্রসাদ পৌঁছে দিচ্ছে তখন বলছেন কেন? উনি যে যে বাড়িতে প্রসাদ দিতে যাবেন তাঁরা বলবেন দিঘার মন্দির দেখে গিয়েছেন। সেখানে বিপুল ভক্ত সমাগম হচ্ছে। প্রসাদও পেয়েছেন। ওঁর (শুভেন্দু) পরিবারও যেতে চায়, কিন্তু ওঁর জন্য যেতে পারছে না।”
বিজেপিকে নিশানা করে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “আমাদের জগন্নাথ মন্দির দিঘায়, এটা বাংলার গর্ব। এই মন্দির নিয়ে একটা খারাপ কথা বলা মানে বাংলাকে অপমান। যে মন্দিরে যেতে চাইছেন যাবেন।” এদিকে, শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে ১ লক্ষ লোক নিয়ে রথ টানবেন বলে। পাঁচদিন ধরে চলবে পুরীর প্রসাদ বিলি। এদিনও দিঘার প্রসাদ নিয়ে একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।