‘আমরা প্রতারিত’, বর্ধমান স্টেশনে ধৃত দুই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্ফোরক তথ্য
প্রতিদিন | ২৬ জুন ২০২৫
সুব্রত বিশ্বাস: বর্ধমান স্টেশনে দুই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ধরলেন রেল আধিকারিকরা। ধৃতরা দিল্লির বাসিন্দা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। ধৃতদের অভিযোগ, টাকার দিয়ে এই চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। রয়েছে ডকুমেন্টও। তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। এরপরই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি কেন্দ্র সরকারের চাকরি নামে প্রতারণার চক্র সক্রিয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে? নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে?
ধৃতদের নাম বিনয়কুমার ও নিতেশ বলগুহার। দু’জনেই দিল্লির বাসিন্দা। বর্ধমান স্টেশনের ওভারব্রিজের কাজ করছিলেন তাঁরা। স্টেশন বা বেরোনোর পথে না দাঁড়িয়ে ওভারব্রিজে কাজের ধুম দেখে সহেন্দ হয় ভিজিল্যান্সের। তড়িঘড়ি দু’জনকেই আটক করে কমার্শিয়াল বিভাগের কর্মীরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য।
দিল্লির বাসিন্দা দুই ধৃতের দাবি, দিল্লির কর্নাট প্লেসের বাসিন্দা এক ব্যক্তি দু’জনের থেকে চার লক্ষ টাকা করে মোট আট লক্ষ টাকা নেন। এরপর দিল্লির এক রেল হাসপাতালের বাইরে তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়। এরপর তাঁদের বলা বাংলার বর্ধমান স্টেশনে পোস্টিং। মঙ্গলবার বর্ধমান বুকিং কাউন্টারের পাশে ধৃতদের এক ব্যক্তি টিসির আই কার্ডও দেন বলে জানিয়েছেন ধৃতরা। তারপর বলা হয় স্টেশন চত্বের নয়, এখন লার্নিং পিরিয়ড তাই ওভারব্রিজেই কাজ করতে হবে তাঁদের। একদিন কাজও করেন তাঁরা। দ্বিতীয় দিন কাজ করার সময়ই ভিজিল্যান্সের নজরে পড়তেই দুই যুবককে আটক করেন আধিকারিকরা। ধৃতরা বর্ধমানে এক বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।
হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম রাহুল রঞ্জন জানিয়েছে, “ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ধরতে রেল একাধিক পদক্ষেপ করেছে। ব্যাজের অভিনবত্ব আনা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “মানুষকে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তাঁরা প্রতারকদের খপ্পরে পড়ছেন। রেলের চাকরি পেতে টাকা করতে হয় না। মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পাওয়া যায়।”