পোস্টিং মামলায় অস্বস্তি বাড়ল তিন চিকিৎসকের, বদলিতে স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুন ২০২৫
আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তিন চিকিৎসককে বদলির নির্দেশে আপাতত হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার আদালতে এই বদলির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানালেও তা গ্রহণ করেননি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।বদলির নির্দেশ নিয়ে রাজ্যের স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনিকেত মাহাত, দেবাশিস হালদার এবং আসফাকুল্লা নাইয়া নামে ওই তিন চিকিৎসক। তবে বিচারপতি রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, বদলির বিজ্ঞপ্তি সহ নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র আদালতে জমা দিতে হবে। পরবর্তী শুনানি ৩ জুলাই।
আদালতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চিকিৎসকদের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে তিন বছরের বন্ডে নিয়োগ করা হয়েছে। এটি সিভিল সার্ভিসের আওতায় পড়ে, ফলে বদলি কোনও অবৈধ পদক্ষেপ নয়। অন্যদিকে, চিকিৎসক অনিকেত মাহাতর পক্ষে আইনজীবী প্রতীক ধর জানান, নিয়োগ শব্দটি ঘিরেই আপত্তি রয়েছে। তাঁর মতে, সরকারি পরিষেবা দেওয়া আর নিয়োগ পাওয়া দু’টি বিষয় এক নয়। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের কাছে জানতে চান, স্থায়ী শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি কোথায়? জবাবে সরকার পক্ষ সেই সংক্রান্ত নথি জমা দেয়। এজি আদালতকে জানান, চিকিৎসকদের গ্রামীণ এলাকায় কাজের জন্য রাজ্য সরকার কম্পালসরি সার্ভিসের নির্দেশ জারি করেছিল।
উল্লেখ্য, এই তিন চিকিৎসকের দাবি ছিল, নিয়ম অনুযায়ী পোস্টিংয়ের জন্য কাউন্সেলিং হয়েছিল এবং সেখানে তাঁরা নিজেদের পছন্দের জায়গা জানিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাঁদের সেই পছন্দ অনুযায়ী পোস্টিং দেওয়া হয়নি। বরং, কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াকে অগ্রাহ্য করে তাঁদের এমন জায়গায় বদলি করা হয়েছে, যেগুলো তাঁদের পছন্দের তালিকায় ছিল না। আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জেরেই তাঁদের বিরুদ্ধে এ হেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
ডব্লিউবিজেডিএফ নামে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন তখন জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনজনই আদালতের শরণাপন্ন হবেন। সেইমতো গত ৩০ মে দেবাশিস এবং আসফাকুল্লা হাই কোর্টে মামলা করেন। পরে অনিকেতও আলাদা মামলা দায়ের করেন। দেবাশিসের পোস্টিং হয়েছে মালদহের গাজোলে, আসফাকুল্লার হুগলির আরামবাগে এবং অনিকেতকে পাঠানো হয়েছে রায়গঞ্জে।