মাদক কারবারিদের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে, জানালেন কলকাতার নগরপাল ...
আজকাল | ২৭ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৬ শে জুন বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস উপলক্ষে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। এটি অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা পুলিশের বডিগার্ড লাইনে। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ বর্মা সহ সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও।
মূলত সমাজে যেভাবে ক্রমাগত নেশার আসক্তি যুব সমাজকে গ্রাস করছে এবং যুবসমাজ যেভাবে এই নেশার কারণে জীবন যুদ্ধে পিছিয়ে পড়ছে সেই সচেতনতা নিয়েই এদিন একাধিক কর্মসূচি পালন করে কলকাতা পুলিশ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রশিল্পী অনির্বাণ চক্রবর্তী ও প্রিয়াঙ্কা সরকার। এছাড়াও এই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বহু ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়া এবং মাদক নেশা থেকে মুক্ত হয়ে অর্থাৎ জয়ী যুব সমাজের বেশ কিছু যুবক যুবতীরাও। তাদের নিয়ে প্রথমে একটি পদযাত্রা হয় এবং তারপর একাধিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা পুলিশের বডিগার্ড লাইনের অডিটরিয়ামে।
কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ বর্মা বলেন, "যদি সমস্ত মেট্রো সিটিগুলিকে নিয়ে তুলনা করা যায় তাহলে, কলকাতা পুলিশের মেট্রো সিটি সবচেয়ে সুরক্ষিত ড্রাগ সচেতনতায়। কলকাতা পুলিশ মূলত নজর রাখছে কোথা থেকে ড্রাগ আসছে এবং কিভাবে ডিস্ট্রিবিউট হচ্ছে সেগুলোর উপরে যাতে আরও সুরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করা যায়। কলকাতা পুলিশের প্রতিমুহূর্তে নজর রাখছে সচেতন রয়েছে। তবে সম্পূর্ণ নেশামুক্তি হয়েছে সেটা বলা যাবে না। বেশ কিছু পকেট আছে যেগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সম্পূর্ণ নেশামুক্তি করার চেষ্টা করছি"।
নগরপাল আরও বলেন, "অপরাধের সঙ্গেও এই নেশা অর্থাৎ ড্রাগের কানেকশন যুক্ত। সেদিকেও আমরা নজর রাখছি এবং কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। বেশ কিছু অপরাধীরা যারা নেশাগ্রস্ত এবং নেশা করে নেশা মুক্তিকরণ হোমগুলোতে সেল্টার নিয়ে নেয়, তাদেরকেও আমরা খুঁজে বার করছি।"
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, "রাজ্যে বহু নেশা মুক্তিকরণ কেন্দ্র রয়েছে যারা সরকারের সহযোগিতায় কাজ করছে এবং তারা সরকারিভাবে রেজিস্টার্ড। সংখ্যাটা ৭৫ থেকে ৮০। সেখানে সরকারের সঙ্গে যুক্ত ৮ থেকে ১০ টি সংস্থা। তাদের নিয়ে আমরা আরও উন্নতমানের কাজ করার চেষ্টা করছি।" মন্ত্রী আরও বলেন, "এই পাচারকারীরা স্কুল বা কলেজগুলিকে টার্গেট করছে। তাদেরকে নেশা ধরিয়ে সমাজকে কলুষিত করার একটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুব সমাজকে বলব তারা যেন এই ধরনের প্রলোভনে কোনওভাবে পা না দেয়। কারণ যুব সমাজের জীবন যুদ্ধে এই নেশায় আক্রান্ত হয়ে যদি পিছিয়ে পড়ে তাহলে সমাজ এবং তাদের জীবনের প্রচুর ক্ষতি যা পূরণ করা নয়। আমাদের পুলিশ প্রশাসনে যথেষ্ট কাজ করছে এবং সচেতনতার সাথে প্রতিমুহূর্তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই নেশার বিরুদ্ধে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।"