কয়েকদিন আগেই পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ। এ বার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এই সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ধর্ষণের মামলা। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলারই নবগ্রাম থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করতে তাঁকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন কার্তিক মহারাজ। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসপ্রীত সিং জানিয়েছেন, যে মহিলা এই অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি বহরমপুরে থাকেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরে ধর্ষণের মামলা রুজু করে নবগ্রাম থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রয়োজনে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকেও জেরা করবে পুলিশ।’
এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি কার্তিক মহারাজ। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে, তাঁর অনুগামীরা এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই কার্তিক মহারাজের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। নাম না করেই তাঁরা ইঙ্গিত করছেন শাসকদলের দিকেই।
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার সন্ন্যাসী হিসেবে আছেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে, মুর্শিদাবাদ জেলায় এসে কার্তিক মহারাজকে নিশানা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মে মাসেও বহরমপুরে এসে জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে নাম না করেই কার্তিক মহারাজকে ফের দুষেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বছর নির্বাচনে রাজ্যে পরিবর্তন আনার কথাও বলেন এই সন্ন্যাসী। এই কারণে তাঁকে রাজ্যের শাসক দলের তোপের মুখে পড়তে হয়।
এ দিকে ওই মহিলার অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে ২০১৩ সালে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তাঁর দাবি, চাকরির নাম করে তাঁকে শারীরিক সম্পর্ক এবং জোর করে গর্ভপাতে করতে বাধ্য করেন কার্তিক মহারাজ।
তবে এত দিন পরে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ঘটনার ১২ বছর পরে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলার মধ্যে রাজনীতি রয়েছে।
এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না তাঁর ভক্তরা।