ভেন্ডাবাড়ির উমা মন্দিরে ২৮ ফুট রথ, পুরীর কাঠে তৈরি ৩ দেবদেবীর বিগ্রহ
বর্তমান | ২৭ জুন ২০২৫
দিবাকর মজুমদার, ইটাহার: পুরীর জগন্নাথ দেবের রথের কাঠ দিয়ে নির্মিত হয় ভেন্ডাবাড়ির জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ। এখানে ২৮ ফুট উঁচু বিশাল রথে চেপে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ। প্রতি বছর উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত ছুটে আসেন ইটাহারের ভেন্ডাবাড়ি উমা মন্দিরের রথযাত্রায়। ইটাহার ব্লকের এই বড় রথযাত্রায় থাকে বাড়তি পুলিসি নিরাপত্তা।
প্রায় ১৯ বছর আগে এখানে রথযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ৯ বছর আগে ওড়িশা সরকারের কাছ থেকে নিয়ম মেনে পুরীর জগন্নাথ দেবের রথের কাঠ নিয়ে আসেন স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজু কুণ্ডু। সেই কাঠ দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ তৈরি করে উমা মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যবসায়ী। তারপর থেকে দক্ষিণালের বাসিন্দা উজ্জ্বল বর্মন রথযাত্রা আয়োজনের দায়িত্ব পান। তখন থেকে বেড়েছে রথযাত্রার জৌলুস। শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রতি বছর হয় রথযাত্রা।
রথযাত্রার দিন ভোরবেলা মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে শুরু হয় পুজোপার্বণ। তারপর থেকে চলে ৫৬ ভোগ, বাল্য ভোগ, অন্ন ভোগ, কীর্তন সহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বিকেলে রাজবেশে ২৮ ফুট উঁচু সুবিশাল কাঠের রথে চেপে দুর্গাপুর, কমলাই, রুহিমারি হয়ে দক্ষিণালে মাসির বাড়ি পৌঁছন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। রথের দড়ি টানতে ইটাহার, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ব্লক থেকে প্রায় ১০ হাজার ভক্তের সমাগম হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা সরকার ও সুখীনাথ সরকার জানান, প্রতি বছর উমা মন্দিরের রথে প্রচুর মানুষ আসেন।
উল্টো রথে দক্ষিণাল থেকে ১০ কিমি ঘুরে হাজারো ভক্তের সমাগমে সোনাপুর, শ্রীপুর, কুকড়াকুন্ডা, বেকিডাঙা হয়ে ভেন্ডাবাড়ির উমা মন্দিরে নিজের বাড়িতে ফিরবেন জগন্নাথ। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে প্রায় ৭ হাজার ভক্তের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করে আয়োজক কমিটি। উজ্জ্বলের কথায়, ১০ বছর থেকে এখানে রথযাত্রার আয়োজন করে আসছি। উমা মন্দিরের রথের মূল আকর্ষণ পুরীর জগন্নাথ দেবের রথের কাঠামো দিয়ে তৈরি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ।