• মাসির বাড়ি না গিয়ে মন্দিরে ফিরে আসেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা, বালুরঘাটের বোয়ালদার গ্রামে উন্মাদনা তুঙ্গে
    বর্তমান | ২৭ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হিলি: বালুরঘাট শহর সংলগ্ন বোয়ালদারের গ্রামের রথযাত্রাকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ছে। এতদিন ছ’টি রথ পরিক্রমা করলেও এবছর  সাতটি রথ পরিক্রমা করবে। পারিবারিক উদ্যোগে এই রথযাত্রা হলেও এলাকাবাসীও এখানে শামিল হন।

    মূল উদ্যোক্তা বিমল চৌধুরী জানান, প্রায় ২৫০ বছর আগে তাঁর পূর্বপুরুষরা এই রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন অবিভক্ত বাংলাদেশে। সান্তাহার হিংসার আগে বা পরে  তাঁর বাবা বিগ্রহগুলিকে রক্ষার জন্য এপারে  নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে তাঁরা সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতায় ২০০৬ সাল থেকে বোয়ালদারে নতুন করে বড় পরিসরে রথযাত্রার আয়োজন করছেন। পুরীর জগন্নাথ ধামের রথযাত্রার অনুকরণে পুজোর আয়োজন হলেও বৈশিষ্ট্য ও বিশেষত্বে এখানকার রথ ব্যতিক্রমীও বটে। 

    রথযাত্রার দিন এখানকার জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা মাসির বাড়িতে যান না। রথযাত্রার পরিক্রমা শেষে ফের নিজের মন্দিরে ফিরে আসেন। পুজো উদ্যোক্তারা মন্দির থেকে বিগ্রহ নিয়ে রথে চড়িয়ে প্রায় এক কিমি রাস্তা পরিক্রমা করে পাশের গ্রাম নলতাহারে গিয়ে পৌঁছান। সেখান থেকে ফিরতি পথে পরিক্রমা শেষে ফের মন্দিরে এসে অধিষ্ঠিত হন। উল্টোরথেও একই নিয়ম মেনে ঠাকুর এসে ফের মন্দিরেই থেকে যান। নিয়ম মেনে রথযাত্রার উৎসব ও পুজোর সূচনা হয় স্নানযাত্রা দিয়ে। এরপর থেকেই বিগ্রহকে দেওয়া হয় নানা রকম মিষ্টি জাতীয় ভোগ। ধর্মীয় ও শাস্ত্র মতে স্নানযাত্রার পর ঠাকুরের জ্বর আসে। জ্বর শেষে রথযাত্রার  ঠাকুরের খাওয়ার রুচি ফেরাতে রথযাত্রার আগের দিন বিশেষ ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় গন্ধপাতা ও কচুর লতির তরকারি এবং কালোজিরের বাটা। রথযাত্রার দিনে সকালে পরিবেশিত হয় মালপোয়া ভোগ। দুপুরে ঠাকুরের উদ্দেশে নিবেদন করা হয় ৫৬ প্রকারের বিভিন্ন ধরনের ভোগ।
  • Link to this news (বর্তমান)