• ভক্তি ও আবেগের টানেই রেলশহর খড়্গপুরে রথের রশি টানেন মানুষ
    বর্তমান | ২৭ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: বহু ভাষাভাষির রেল শহর মিনি ইন্ডিয়া খড়্গপুরে রথযাত্রা ঘিরে জাত, ধর্ম ভুলে উৎসবে শামিল হন বাসিন্দারা। শহরের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রাই এই রেল শহরের প্রধান আকর্ষণ। এছাড়াও সুভাষপল্লি, মালঞ্চ, ভবানীপুর, সাঁজোয়ালেও রথ বেরোয়। তবে সাতদিন ধরে জগন্নাথ মন্দিরে যেমন মেলা বসে তেমনই হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। জগন্নাথদেবের আরাধনায় মন্দিরে ভিড় জমান বহু মানুষ। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চল থেকেও বাসিন্দারা আসেন খড়্গপুরে। 

    ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহারাজ দিব্য সিংহ দেব খড়্গপুরের জগন্নাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। পুরীর আদলে এখানে মন্দির তৈরি হয়েছে। আছে নাটমন্দির, গর্ভগৃহ, সিংহ দুয়ার, ভোগমন্দির। শিব, লক্ষ্মী, বিমলামাতা ও কাঞ্চি গণেশের মন্দিরও আছে। প্রবেশদ্বারের দু’দিকে আছে সিংহ মূর্তি। এই মন্দিরের বাইরে, ভিতরে আছে ভাস্কর্যের অপরূপ কারুকার্য। সেখানে স্থান পেয়েছে নানা দেবদেবীর মূর্তিও। মন্দিরের এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য দ্বারকেশ প্রসাদ পট্টনায়ক বলেন, কয়েকজন উৎসাহী যুবকের উদ্যোগে নব্বইয়ের দশকে রেলের জমিতে একটি ছোট মন্দির গড়ে ওঠে। জগন্নাথ যুবক সঙ্ঘ তৈরি করে তারা দু’টি ওড়িয়া সিনেমা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করে। তার লভাংশ্য থেকে এই ছোট মন্দিরগড়ে ওঠে। তখন একটাই রথ পরিক্রমা করত। সেটাই সূচনা। এখন প্রভু জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার পৃথক পৃথক রথ পরিক্রমা করে। আলাদা করে জগন্নাথের মাসির বাড়ি নেই এখানে। মন্দিরেই অস্থায়ী মাসির বাড়ি তৈরি হয়। শহর পরিক্রমা করে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে আসেন জগন্নাথদেব। জগন্নাথ মন্দির থেকে রথ বের হয়ে পঞ্চমুখে হনুমান মন্দির পর্যন্ত যায়। তারপর মাসির বাড়ি আসে। রথযাত্রা দেখতে রাস্তার দু’ধারে বহু মানুষের ভিড় হয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)