• থানার সামনে থেকে ওসির গাড়ি নিয়ে চম্পট, কসবা থেকে উদ্ধার
    বর্তমান | ২৭ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রগতি ময়দান থানার ওসির গাড়ি চুরি করে উধাও দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। থানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওসির চারচাকার গাড়ি কোথায় গেল, তা নিয়ে খোঁজ শুরু হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কমলা রঙের টি শার্ট ও হাফ প্যান্ট পরা একজন অনেকক্ষণ ধরে ঘুরঘুর করছে থানার সামনে। সে বারেবারে ওই গাড়ির কাছে যাচ্ছে, আবার এদিক-ওদিক তাকিয়ে সরেও যাচ্ছে। এরপর হঠাৎ গাড়ির চালকের আসনে উঠে বসে স্টার্ট দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ওসি বাইরে এসে দেখেন, তাঁর গাড়ি নেই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানানো হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গাড়িটি রুবি মোড় থেকে ডানদিক ঘুরে কসবার দিকে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় ডিউটিতে থাকা সার্জেন্টকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিসও গাড়ি নিয়ে ওই দুষ্কৃতীর পিছনে ধাওয়া করে। কসবা থানার কাছে গাড়িটিকে আটক করে পুলিস। অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসা হয়। জানা যায়, তার নাম ইমরান হোসেন। বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে। সে হাওড়ার ধূলাগড়ে একটি সংস্থায় কাজ করত। তারই পরিচিত একজন তাকে ওই চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সেই সূত্রে থাকত ধূলাগড়েই। কিন্তু গত তিনদিন ধরে সে বেপাত্তা থাকায় তার ওই বন্ধু সাঁকরাইল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন বলে দাবি। অভিযুক্ত ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিস জানিয়েছে, হাওড়ার সাঁকরাইল থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে ওই যুবকের মানসিক সমস্যা রয়েছে। সে গাড়ি চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    অন্যদিকে, আলিপুর আদালতের এক বিচারকের সই জাল করে হলফনামা  জমা দিয়ে লালবাজার থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ি নেওয়ার চেষ্টা করেছিল তিনজন। এই অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা দিন পনেরো আগে লালবাজারে যায়। সেখানে বাজেয়াপ্ত হওয়া একটি গাড়ি দেখিয়ে দাবি করে, তারা ওই গাড়ির মালিক। লালবাজারের তরফে বলা হয়, এই সংক্রান্ত একটি হলফনামা আদালতে জমা করতে হবে। সেটি জমা পড়ার পর গাড়ি মিলবে। এরপর দুই অভিযুক্ত লালবাজার এলাকায় এক টাইপিস্টের কাছে গিয়ে জাল হলফনামা টাইপ করে। তাতে বিচারকের নকল সই ও রাবার স্ট্যাম্প বসিয়ে দেয়। বিষয়টি জানত ওই টাইপিস্ট। অভিযুক্ত এই জাল হলফনামা নিয়ে লালবাজারে গেলে কর্তাদের সন্দেহ হয়। তাঁরা গাড়ি না দিয়ে হলফনামা জমা রেখে দেন।  খতিয়ে দেখে জানতে পারেন, এটি জাল। লালবাজারের তরফে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ করা হয়। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিস মোবাইলের সূত্র ধরে বুধবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
  • Link to this news (বর্তমান)