নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মানিকতলা থেকে গৌরীবাড়ি অরবিন্দ সেতু পর্যন্ত খালধারের ডান দিকের ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ হয়েছে সম্প্রতি। বহুবছর ধরে সেখানে বাঁশ, কাঠ, বেড়ার ঘর তৈরি করে টিনের ছাউনি দিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেনি অনেকে। সম্প্রতি তাঁদের তুলে দিয়ে ফুটপাত ফাঁকা করার কাজ হয়েছে। আগামী দিনে ফুটপাতের অংশ কমিয়ে ক্যানাল ইস্ট রোডের রাস্তা চওড়া করা যেতে পারে বলে দাবি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমল চক্রবর্তীর।
উল্লেখ্য, গতবছর ক্যানাল ইস্ট রোডে কবিরাজ বাগান সংলগ্ন একটি কাঠের গুদাম এবং আসবাবের শোরুমে আগুন লেগেছিল। খালধার বরাবর রাস্তা চওড়া হলেও ফুটপাতজুড়ে তৈরি হয়েছিল বসতি। ফুটপাতে বেড়া, কাঠ, বাঁশের দেওয়াল তুলে টিনের বা প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে চলছিল বসবাস। প্রায় ১০০টি ঝুপড়ি বাড়ি তৈরি হয়েছিল ফুটপাতে। সে সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটায় আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে বেগ পেতে হয়েছিল দমকল কর্মীদের। তখন দখলদার সরানোর পরিকল্পনা হয়। জানা গিয়েছে, কোনও কোনও ঝুপড়ি বাড়িতে রঙিন টিভি, এসি পর্যন্ত ছিল। সে বাড়ির বাসিন্দারা হুকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ নিতেন। তৈরি করা হয়েছিল দোকান। অভিযোগ, এই বাড়িগুলির অধিকাংশ বাসিন্দা কলকাতার বাইরে থেকে এসে বসবাস করছেন। বিভিন্ন কাজের সূত্রে তাঁরা কলকাতায় এসেছিলেন। তারপর ফুটপাত দখল করে এখানে থাকতে শুরু করেন।
সম্প্রতি পে লোডার ব্যবহার করে ঝুপড়ি বাড়িগুলি তুলে ফেলা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে বেআইনি নির্মাণ। এর ফলে চওড়া হয়েছে ফুটপাত। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমল চক্রবর্তী বলেন, জায়গাটি এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েছে। প্রায় ১২ ফুট চওড়া ফুটপাত গায়েব হয়ে গিয়েছিল। এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছিল। দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। ক’দিন আগে সংবাদমাধ্যমে পড়েছি, মেয়র বলেছেন যেখানে যেখানে পাঁচ ফুটের বেশি চওড়া ফুটপাত রয়েছে, সেখানে ফুটপাত কেটে রাস্তা চওড়া করা হবে। ক্যানাল ইস্ট রোডে ফুটপাত কেটে রাস্তা চওড়া করা যেতে পারে। মেয়রের কাছে প্রস্তাব পাঠাব। ফুটপাত মেরামত করা হবে। অনেক জায়গা ভেঙে গিয়েছে। জায়গাটি যাতে আগামী দিন দখল না হয়ে যায় তাই নতুন করে পেভার ব্লক লাগিয়ে সাজানোর প্রয়োজন আছে।