• ‘বিজেপি নেতারা দাদা থেকে দাদু হয়ে যাবেন, তবুও বাংলায় ক্ষমতায় আসতে পারবেন না’
    বর্তমান | ২৭ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু ১০ মাস আগে ভোটের উত্তাপে সরগরম বাংলা। কে ক’টা আসন পাবে, তা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে বাগ্‌যুদ্ধ তুঙ্গে। ভোটের বছর খানেক আগে তৃণমূল প্রত্যয়ীর সুরে জানিয়ে দিয়েছে, শুধু ক্ষমতায় থাকাই নয়, বাড়তে চলেছে তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যাও। স্বয়ং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে খোলা চ্যালেঞ্জ বিজেপির উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছেন, তাতে ছন্নছাড়া গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার অভিষেককে জবাব দিতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। ফলে সব মিলিয়ে বাংলার রাজনীতিতে এখন এটাই চর্চা ঩যে, বিজেপি ৫০টি আসন পাবে কি না!

    ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের হাওয়া বাংলার রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ইতিমধ্যেই বইতে শুরু করেছে। বিজেপি হাওয়া তুলে দিয়ে বলেছে, সামনের বছর নাকি তৃণমূলের সরকার থাকছে না। ঩খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা বাংলায় সফর করে ‘পরিবর্তনের হাওয়া’ নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন। পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের কণ্ঠস্বর অনেক বেশি জোরালো এবং তির্যক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২০২১ সালে বিজেপি বাংলায় ৭৭টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু ২০২৬ সালে বিজেপি ৫০-এর নীচে থাকবে। তাঁর সংযোজন, বিজেপি নেতারা দাদা থেকে কাকা, জেঠু, দাদু হয়ে যাবেন, কিন্তু আগামী ৫০ বছরেও তৃণমূলকে বাংলার মানুষের হৃদয় থেকে সরানো যাবে না। ফলে অভিষেকের প্রত্যয়ী সুর থেকে এটা স্পষ্ট যে, একুশ সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল যে আসন পেয়েছিল, সেটাকেও তারা ছাপিয়ে যাবে। তৃণমূলের টার্গেট, ২১৫ আসন পার করা।

    যদিও অভিষেকের এই বার্তায় বিজেপির তরফে সঠিক কোনও উত্তর নেই। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, আমি বা উনি কেউ জ্যোতিষী নই। ফলে কোন দলের আসন ২০২৬ সালের ভোটে ৫০-এর নীচে যায়, দেখা যাক। একটা সময় কংগ্রেসের মনে হয়েছিল, ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা। এখন ওই দলের কী অবস্থা সবাই জানেন। 

    অভিষেক শুধু পরের বছরের ভোট বার্তাই দেননি, সেইসঙ্গে ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবারের রোড ম্যাপও ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে জিতেছিলাম ৩ লক্ষ ২০ হাজার ভোটে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জিতেছি ৭ লক্ষ ১০ হাজার ভোটে। আর ২০২৯ সালে এই ব্যবধান হবে ৮ লক্ষ। 
  • Link to this news (বর্তমান)