এই সময়, কামারহাটি: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রথের আদলে সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি কামারহাটি রথতলার রথ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই রথকে ঘিরে কামারহাটি তো বটেই আশপাশের এলাকার মানুষেরও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আজ, শুক্রবার রথযাত্রা উপলক্ষে রথতলার রথকে ঘিরে রীতিমতো সাজোসাজো রব।
পুরীর ক্ষেত্রে যে যে নিয়ম মেনে রথ তৈরি হয়, সেই একই নিয়মে কামারহাটির বেলঘরিয়া রথতলা জগন্নাথ মহাপ্রভু মন্দির কমিটির রথ তৈরি হয়েছে এ বারও। দু মাসেরও বেশী সময় ধরে মহাপ্রভুর মন্দির লাগোয়া বিটির রোডের ধারেই তৈরি করা হয়েছে বিশালাকার তিনটি রথ।
জগন্নাথের রথের উচ্চতা ৩৫ ফুট, বলরামের রথ ৩৩ ফুট এবং সুভদ্রার রথের উচ্চতা ৩২ ফুট করা হয়েছে। রাউরকেল্লার গন্ধমাদন জঙ্গল থেকে আনা অশন, ধৌরা কাঠ এনে তা দিয়েই তৈরি হয়েছে বিশালাকার তিনটি রথ।
শুক্রবার বেলায় বিশেষ পুজো, আরতি, ভোগের পর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বিগ্রহকে রথে তোলা হবে। তারপর বিটি রোডের ডানলপের দিকের রাস্তা দিয়েই আগরপাড়া অভিমুখে দুলালনগর মাঠে মাসির বাড়িতে এক একে প্রথমে সুভদ্রা, তারপর বলরাম এবং সবশেষে জগন্নাথ দেবের রথ নিয়ে যাওয়া হবে।
রথকে ঘিরে প্রায় ৩০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকছে। যার মধ্যে একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার, ৮ জন ইনস্পেক্টর ও তিনজন সহকারি পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন।
ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর এবং ট্র্যাফিক) অতুল বিশ্বনাথন জানিয়েছেন, দুপুর দুটোর পর থেকে আগরপাড়া তেঁতুলতলা এবং অন্যদিকে ডানলপের মধ্যে বিটি রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। একটি লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। বিকল্প হিসেবে নীলগঞ্জ রোডটি ফাঁকা রাখা হচ্ছে। যাতে অ্যাম্বুল্যান্স সেখান দিয়ে যেতে পারে।