• তমলুকের রাজবাড়িতে প্রথমবার বসছে রথের মেলা
    এই সময় | ২৭ জুন ২০২৫
  • এই সময়, তমলুক: ২৯৯ বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে তমলুক শহরের মহাপ্রভু মন্দিরের রথযাত্রা। এ বছর ২৪ বছরে পড়ল এই রথ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০০২ সালে আবারও শুরু করা হয়। এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রথম তমলুক রাজবাড়ির প্রাঙ্গণে বসছে নয় দিনে মেলা।

    বৃহস্পতিবার তার উদ্বোধন করেন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য চিত্তরঞ্জন মাইতি। উপস্থিত ছিলেন তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের সদস্য তথা তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়-সহ পুরসভার কাউন্সিলার এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

    মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিনশো বছর আগে রানি হরিপ্রিয়ার গুরুদেব শ্যামানন্দী আচার্য শ্রীল বৈষ্ণবচরণ দাস বাবাজি প্রথম দারুব্রহ্ম শ্রী জগন্নাথদেবের প্রতিষ্ঠা করেন।

    তখন থেকেই রাজবাড়ির পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হয় রথযাত্রা উৎসব। এ দিন সকালে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মূর্তিকে তিনটি পৃথক রথে বসানো হবে। তার আগে তিন দফায় নিবেদন করা হবে ৫৬ ভোগ ও দ্বাদশ ব্যঞ্জন।

    নিয়ম মেনে, রথের দিন দুপুরে রথের চারপাশে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ও ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করার ‘ছেরা পহরা’ অনুষ্ঠান হবে। এর পরে রথের রশিতে টান পড়বে। মহাপ্রভু মন্দির থেকে যাত্রা শুরু হবে। বর্গভীমা মন্দির, নিমতলা, হাসপাতাল মোড় ও মানিকতলা হয়ে পৌঁছাবে তমলুক রাজবাড়িতে।

    রথযাত্রা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মন্দির চত্বর ও মেলার আশেপাশে বসানো হয়েছে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। পুলিশের পাশাপাশি মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবকরাও থাকবেন নজরদারিতে।

    এ বছরে প্রায় ৫০ হাজার ভক্তদের মধ্যে ১৫ দিন ধরে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। থাকছে পুরী ধামের খাজা, কণিকা, অবঢ়া-সহ একাধিক বৈষ্ণব ভোগ। রথে মেলায় রক্তদান শিবির, বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষা ও চক্ষু পরীক্ষা শিবির থাকছে।

    তমলুক রাজপরিবারের সদস্য দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় বলেন, ‘মহাপ্রভু মন্দিরের সঙ্গে আমাদের রাজবাড়ির গুরু-শিষ্য পরম্পরা বহুদিনের। প্রতি বছরের মতো এ বারও রথ উৎসব হচ্ছে, তবে এ বছরে প্রথম রাজবাড়ির মাঠে বসছে মেলা’

  • Link to this news (এই সময়)