এই সময়, দিঘা: দিঘার মন্দিরে প্রথম রথ দেখবেন ওঁরাও। তাই বৃহস্পতিবারই দিঘায় পৌঁছেছেন ওডিশা থেকে আসা কয়েক জন পর্যটক। রথযাত্রা উপলক্ষে বুধবার দিঘায় এসেছেন আমেরিকা, রাশিয়া, ইউক্রেনের ৫০ জন বিদেশি ভক্তের দল। রথ উৎসব ঘিরে এ দিন সকাল থেকেই ব্যস্ত প্রশাসন।
ওডিশার কটক থেকে বৃস্পতিবার ভোরে জগন্নাথ মন্দিরে পরিবার নিয়ে জগন্নাথদেবকে দর্শন করতে এসেছিলেন বিনয়কুমার বস্তিয়া। তিনি বলেন, ‘পুরীর রথ তো প্রত্যেক বছর দেখি।
দিঘার মন্দিরের কথা অনেক শুনেছি। এ বার দিঘার মন্দিরের রথ দেখতে এলাম। মন্দির খুব সুন্দর। তবে মন্দিরে লক্ষ্মী গণেশের মন্দির দেখতে পেলাম না। মন্দিরে একটা বড় ঘণ্টা লাগালে আরও ভালো হতো। অনেক বড় এলাকা নিয়ে মন্দির তৈরি হয়েছে। সুন্দর করে সাজানো।’
রথের দড়ি টানার ইচ্ছা তাঁর। পুরীর দূরত্ব অনেকটাই। রথ দেখতে বহুবার পুরী গিয়েছেন বালেশ্বরের বাসিন্দা সন্দীপ বেহারা। এ বার তিনি দিঘায় এসে মুগ্ধ। বলেন, ‘ওডিশা থেকে এত কাছে দিঘা না এসে পারা যায়। তাই জগন্নাথ দর্শনে চলে এলাম।’
এ দিন বৃষ্টি ভেজা সকালে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা শর্মিলা বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘দিঘা অনেকবার এসেছি। এ বার ছেলে মেয়েকে নিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের রথ দেখব বলে এলাম।’
এ দিন সকালে স্বামী বিজয় যাদবের সঙ্গে জগন্নাথ মন্দিরে এসেছিলেন লক্ষ্মী যাদব। তিনি জানান, স্বামী কলকাতার বড়বাজারে ছোট ব্যবসা করেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে পুরীর রথ দেখতে যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তাই দিঘায় এসেছেন দম্পতি।
লক্ষ্মী বলেন, ‘পুরী হোক কিংবা দিঘা। জগন্নাথ দর্শন তো হলো।’ রথের দড়ি ধরবেন বলে আগ্রহী তিনিও।
দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন মন্দির ট্রাস্টি কমিটির সদস্য ও দিঘার মন্দিরের দায়িত্বে থাকা ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস।
তিনি বলেন, ‘দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে সবার প্রবেশাধিকার রয়েছে। যার কারণে এই মন্দির নিয়ে বিদেশিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। এর আগে ৫০জন বিদেশি ভক্তের একটি দল দিঘার জগন্নাথ মন্দির ঘুরে গিয়েছেন। রথে ৫০জন বিদেশি ভক্তের একটি দল এসেছেন, রথের দড়ি টানবেন বলে।’