• কখনও ছুরি, কখনও গলায় দড়ি, টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে আত্মহত্যার চেষ্টা নাবালকের, বাঁশবেড়িয়ায় চাঞ্চল্য ...
    আজকাল | ২৭ জুন ২০২৫
  • মিল্টন সেন: ঘরের দরজা বন্ধ করে কখনও ছুরি, কখনও দড়ি, কখনও আবার ঘরের দরজা বন্ধ করে গ্যাসে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিল এক নাবালক।টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে একাধিকবার চেষ্টার পর বাঁশবেড়িয়ার বাসিন্দা কিশোরকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করল পুলিশ ও দমকল। প্রায় চার ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস নাটকের পর পর্দা নামল এই উত্তেজনার। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে চক বাঁশবেড়িয়ার তিন নম্বর ঘুমটি এলাকায়। মাসখানেক আগে বিহার থেকে এসে ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেয় এক পরিবার। আগে তারা গ্যাঞ্জেস জুটমিল লাইনে থাকত বলে জানা গিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুরের পর হঠাৎই নিজের মা ও বোনকে ঘর থেকে বের করে নিজেকে ভিতরে বন্দি করে রাখে ওই নাবালক। পরে দরজা বন্ধ করে শুরু হয় এই আতঙ্কের খেলা। ছুরি দিয়ে নিজেকে আঘাত করার হুমকি, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার বার্তা, এমনকি গ্যাসের সিলিন্ডার খুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ভয়ঙ্কর পরিকল্পনার কথাও বলতে থাকে ওই নাবালক। মা ও পাড়া-প্রতিবেশীরা দরজা খোলার চেষ্টা করলে হুমকি দিতে থাকে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে খবর দেওয়া হয় বাঁশবেড়িয়া মিল ফাঁড়ি এবং দমকলে। দমকল কর্মীরা ঘরের ভিতরে জল চার্জ করেন যাতে আগুন লাগানো না যায়। অন্যদিকে জাফরি জানালা ভেঙে পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা ওই নাবালকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন।

    ওই নাবালক জানায়, তার ওপর দু’লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে এবং সে ঘর থেকে বেরোলে তাকে মারধর করা হবে। বারবার আশ্বস্ত করেও যখন সে দরজা খোলেনি, তখন তাকে বলা হয়, বাইরে বের হলে তার স্কুটিতে পেট্রোল ভরার জন্য ২০০ টাকা দেওয়া হবে। প্রলোভনে পা দিয়ে দরজা খুলেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে আসে ওই কিশোর। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। বাঁশবেড়িয়া মিল ফাঁড়ির ইনচার্জ সুজিত রায় তাকে থানায় নিয়ে যান। নাবালকের মাকে ডেকে পাঠানো হয় এবং চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন, ভবিষ্যতে ওই পরিবারকে থাকতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা হবে। নাবালকের মা জানান, আগে কখনও এমন করেনি সে। সম্ভবত মানসিক চাপ থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
  • Link to this news (আজকাল)