• কমিশনের কোন 'ঘাপলা' ধরলেন মমতা? NRC-র প্রসঙ্গও তুললেন
    আজ তক | ২৭ জুন ২০২৫
  • বিহারে ভোট দোরগোড়ায়। আবার বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। ভোট-রাজনীতি একেবারে তপ্ত। দুই রাজ্যেই। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই কাজ চলাকালীন কমিশন কিছু নতুন নিয়ম এনেছে, যেগুলি ঘিরে শুরু হল রাজনৈতিক বিতর্ক। কমিশনের নয়া নিয়মে আপাদমস্তক 'ঘাপলা' দেখতে পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন নাম মাত্র বিহারের কথা বলছে, কিন্তু আসল নিশানা বাংলা। কারণ বিহারে বিজেপি সরকার আছে, সেখানে বিরোধিতা হওয়ার আশঙ্কা কম। আর বাংলা-সহ বিরোধী রাজ্যগুলোতেই এই নিয়ম প্রয়োগ করে ‘ঘাপলা’ চালানো হচ্ছে বলে মনে করছেন মমতা।

    কী বলছে নির্বাচন কমিশন?

    কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী—

    ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে জন্মস্থানের প্রমাণ দিতে হবে।

    ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের জন্মতারিখ ও জন্মস্থানের নথি লাগবে।

    ১৯৮৭ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে জন্ম হলে, নিজের পাশাপাশি বাবা-মায়ের পরিচয়পত্রও জমা দিতে হবে।

    এবং সবাইকে ভারতীয় নাগরিকত্বের ঘোষণাপত্র (সেল্‌ফ অ্যাটেস্টেড ডিক্লারেশন) জমা দিতে হবে।

    এই সব শর্তেই আপত্তি মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এই নিয়মগুলি দেখে মনে হচ্ছে এগুলি শুধু ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য নয়, বরং অনেকের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়ার রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলছেন, 'অনেক গরিব মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক বা গ্রামীণ জনগণের কাছে বাবা-মায়ের কাগজপত্র থাকেই না। বিশেষ করে ১৯৮৭ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে জন্মানো প্রজন্মকে আলাদা করে নিশানা করা হচ্ছে।'

    এটা কি ভোটার নাম বাদ দিয়ে পরোক্ষভাবে এনআরসি চালু করার চেষ্টা?

    মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'কমিশনের নিয়মে এমন কিছু শর্ত আছে, যাতে সাধারণ ভোটাররা তালিকা থেকে বাদ পড়ে যেতে পারেন, আর সেই সুযোগে বাইরে থেকে লোক এনে নাম ঢোকানোর রাস্তা খুলে যায়।'

    এজেন্টদের নাম চাইছে কমিশন

    তৃণমূল নেত্রীর আরও এক আপত্তি, কমিশন সব রাজনৈতিক দলের বুথ এজেন্টদের নাম ও তথ্য জানতে চেয়েছে। এই প্রসঙ্গে মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমি কেন আমার দলের কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য দেব? এদের গোপনীয়তা রক্ষা করবে কে?’

    ভোটার তালিকা মানেই অস্তিত্ব

    মমতার স্পষ্ট কথা, ‘ভোটার তালিকা মানেই আমাদের অস্তিত্ব। সেখানে যদি কারও নাম বেআইনিভাবে বাদ যায়, তৃণমূল মাঠে নামবে। এই বিষয়ে শুধু তৃণমূল নয়, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করা উচিত। আজ বাংলায় শুরু হয়েছে, কাল অন্য রাজ্যেও হতে পারে।’
     
  • Link to this news (আজ তক)