• ২৭৫ আসনে জয়ী হতে মরিয়া তৃণমূল
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৭ জুন ২০২৫
  • দেবাশিস দাস

    বিধানসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। অতীতে নিজেদের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যের প্রাক্তন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘আমরা ২৩৫, ওঁরা ৩০’। সংখ্যাতত্ত্বের সেই হিসাবকে পিছনে ফেলে রেখে অনেক এগিয়েছে তৃণমূল। বর্তমান রাজ্য বিধানসভায় বাম ও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা শূন্য। অন্যদিকে লাফিয়ে ‍লাফিয়ে বাড়ছে তৃণমূলের আসন সংখ্যা। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল চাইছে বিজেপিকে ২০–২৫টি আসনের মধ্যে আটকে রাখতে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার প্রকাশ্য সভায় দাবি করেছেন, বিজেপিকে ৫০টি আসনের নিচে নামিয়ে আনতে।

    অভিষেকের কথায়, এবার বিজেপি ৫০টি আসনও পাবে না। তাঁর কথা নেহাত কথার কথা নয়, তা প্রমাণ করার জন্য বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হোম ওয়ার্ক চলছে শাসকদলের অন্দরে। আইপ্যাকের প্রতীক জৈনের সঙ্গে এই নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন অভিষেক। সেই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য ছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে চতুর্থ বারের জন্য শুধু ক্ষমতায় আনা নয়, সিংহভাগ মানুষের বিপুল জনসমর্থন যে মমতার সরকারের প্রতি রয়েছে তা প্রমাণ করা। তারই অঙ্গ হিসেবে ২৯৪টি বিধানসভার খুঁটিনাটি তথ্য বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে গিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।

    সামনে থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই, কিন্তু চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই ক্যামাক স্ট্রিট থেকেই রনকৌশল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল ৭৭টি আসনে। কিন্তু দলবদল করেছেন ১২ জন বিধায়ক। বর্তমানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৬৫। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে যে ৭৭টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছিল সেই আসনগুলিতে কেন রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থীদের পরাজিত হতে হয় তা খতিয়ে দেখে এই আসনগুলিতে তৃণমূলের আধিপত্য কীভাবে বিস্তার করা যায় তা নিয়ে রীতিমতো হোমওয়ার্ক করেই মাঠে নেমেছে আইপ্যাক। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জেলার বিধানসভা আসনগুলিতেও নজর রয়েছে মমতার দলের। এই আসনগুলিকে পাখির চোখ করে প্রাথমিক রণকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষ যেভাবে তৃণমূলকে দেখতে চায় সেই পথ অবলম্বন করে এবার নেতানেত্রী বাছাই করবে তৃণমূল।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)