প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে এলোপাথাড়ি ছুরি মেরে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার উদ্ধার হয়েছে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বীরভূমের তারাপীঠ থানার বাতিনা গ্রামে। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরী একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, তারাপীঠ থানার খামেড্ডা গ্রামের বিক্রম মাল নামে এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যদিও পরিবারের অভিযোগ, বিক্রম মাল রাস্তাঘাটে ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করছিল। কয়েকদিন আগে কিশোরীকে কিছু ছবি সুপার ইমপোজ় করে ব্ল্যাকমেল করতেও শুরু করে বিক্রম, অভিযোগ পরিবারের।
এ দিকে কিশোরীর পরিবারের তরফে তার বিয়ের কথাবার্তা বলা হচ্ছিল অন্য জায়গাতে। বিষয়টি কানে যায় বিক্রমের। বৃহস্পতিবার দেখাশোনাও হয় কিশোরীর। যা শোনার পরেই বিক্রম তাঁকে কোপানোর ছক কষে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীর বাবা-মা বাড়ির বাইরে কাজ করছিলেন। এই সুযোগে রাত ১০টা নাগাদ কিশোরীর বাড়ি ঢুকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় বিক্রম। কিশোরীর চিৎকার শুনে বাবা, মা এবং প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই কিশোরীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তারাপীঠ থানার পুলিশ।
ছাত্রীকে খুনের পরে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বিক্রম। রাত থেকেই তার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে সাহাপুর এলাকার ইট ভাটার পাশের একটি গাছে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দু’জনের দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে ওই ছাত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে বিক্রম। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনও কিছু মন্তব্য করতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে।