তাঁর কলেজেই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু তিনিই জানেন না। এমনটাই দাবি দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার দক্ষিণ কলকাতার একটি আইন কলেজে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত ১০টা ৫০-এর মধ্যে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ২ জন কলেজের ছাত্র এবং একজন প্রাক্তন ছাত্র। শুক্রবার আলিপুর আদালত থেকে তাদের ৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে শুক্রবার ঘটনার কথা জানার পরে কলেজে আসেন ভাইস প্রিন্সিপাল। তিনি জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় যে মূল অভিযুক্ত, সেই মনোজিৎ মিশ্র এই কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী।
সূত্রের খবর, ২৫ জুন কলেজে অনুষ্ঠান ছিল, সেখানে যোগ দিতে এসেছিলেন প্রাক্তনী মনোজিৎ মিশ্র। তারপরেই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। যদিও ওই দিন কলেজে কোনও অনুষ্ঠান ছিল না বলে জানিয়েছেন ভাইস প্রিন্সিপাল। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে এ দিন তিনি বলেন, ‘আমাকে নাইট গার্ড সকালে বলেন যে পুলিশ থেকে লোক এসেছিল। কলেজের ২টো রুম সিল করা হয়েছে।’ কিন্তু কোন কোন রুম সিল হয়েছে? সেটা জানাতে পারেননি তিনি। কলেজ টাইমের অনেক পরে এই ঘটনা ঘটেছে। কী ভাবেই ওই সময়ে কলেজের ভিতর ঢুকল বা থাকল অভিযুক্তরা? সেই বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি ভাইস প্রিন্সিপাল।
সূত্রের খবর, আগে এই কলেজের টিএমসিপির ইউনিট প্রেসিডেন্ট ছিলেন মনোজিৎ। তিনি আলিপুর আদালতে প্র্যাকটিসও করেন বলে সূত্রের খবর। তার সঙ্গেই ওই আইন কলেজের গভর্নিং বডির সুপারিশে অস্থায়ী চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র। অফিসিয়াল কিছু কাজ করতেন মনোজিৎ, জানিয়েছেন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল।