‘এত মানুষ আন্দোলন করল…’, কসবা আইন কলেজের ভেতরে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শুনে হতাশা আরজি করের নির্যাতিতার বাবার গলায়। মেয়েকে হারানোর পরে এখনও বছর ঘোরেনি। এরই মধ্যে ফের এই নির্যাতনের অভিযোগ নাড়িয়ে দিয়েছে তাঁকে। ‘এই সময় অনলাইন’-কে তিনি বলেন, ‘সবসময় ভাবি এ ধরনের ঘটনা যেন না হয়। কিন্তু তার পরেও ঘটেই চলেছে।’
২০২৪ সালের ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। পথে নেমে ‘রাত দখল’-ও করেছিলেন রাজ্যের কিছু মানুষ। সেই ঘটনার পরে এখনও বছর ঘোরেনি। রাজ্যে ফের নারী নির্যাতনের অভিযোগ। এবারও খাস কলকাতায়। কসবার একটি আইন কলেজের ক্যাম্পাসেই সেখানকার ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত ৩।
এই ঘটনার খবর শোনার পরে হতাশার সুর আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবার গলায়। তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের আইনের ভয় নেই। আমার মেয়ে বিচার পায়নি। আমার মেয়ে বিচার পেলে এরা এত সাহস পেত না।’ তিনি আরও বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা সবসময় ভাবি যেন এ ধরনের ঘটনা কোথাও কখনও না ঘটে। কিন্তু ঘটেই চলেছে।’
আরজি কর কাণ্ডের সময়ে জুনিয়র চিকিৎকরা নারী নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছিলেন। কসবার ঘটনায় ফের সরব সেই আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো। কসবার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্যই ছিল যাতে আরজি করের মতো ঘটনা কোথাও না ঘটে। এ ঘটনাগুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আরজি করের ঘটনার মোটিভ কী ছিল, তা এখনও অস্পষ্ট। স্বাভাবিক ভাবেই এই ধরনের ঘটনাগুলিকে প্রতিহত করার জন্য গণআন্দোলন একমাত্র পথ। আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশাসনের উপরে নাগরিক সমাজ চাপ বজায় রাখলে প্রকৃত দোষীরা সামনে আসবে। বিষয়টা রাজ্য এবং দেশ, সমস্ত ক্ষেত্রে এক।’