বারবেলায় টান পড়ে রথের রশিতে, এটাই রীতি গুপ্তিপাড়ায়
আজকাল | ২৭ জুন ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: দেশে সব থেকে প্রাচীন পুরীর রথযাত্রা। তারপরই আসে শ্রীরামপুর মাহেশের রথযাত্রার নাম। তবে বাংলার প্রসিদ্ধ রথগুলির মধ্যে প্রাচীন এবং অন্যতম হুগলির বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। জানা যায় ১৭৪০ সালে এই রথযাত্রা উৎসবের সূচনা হয়।
গুপ্তিপাড়ার রথ বৃন্দাবন জিউ রথ নামে পরিচিত। সারা বছর জগন্নাথ দেব বৃন্দাবন জিউ মন্দিরে থাকেন। রথযাত্রায় মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি মাসির বাড়ি যান। প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। বছরের অন্যসময়ে ঐতিহ্যপূর্ণ বৃন্দাবনচন্দ্র মঠের পাশে বছরভর এই রথ টিনের খাঁচায় মোড়া অবস্থায় রাখা থাকে।
এই রথ চার তলা, উচ্চতা প্রায় ৩৬ ফুট, দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত ৩৪ ফুট করে। আগে বারোটা চূড়া ছিল বর্তমানে নয়টি চূড়া। বৃন্দাবন মন্দির থেকে জগন্নাথ,বলরাম আর সুভদ্রা রথে চড়ে যান প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গোসাঁইগঞ্জ-বড়বাজারে মাসির বাড়ি যান। গুপ্তিপাড়া রথযাত্রার একটি নিজস্ব বিশেষত্ব হল ভান্ডার লুট। উল্টোরথের আগের দিন হয় ভান্ডার লুট। গুপ্তিপাড়া রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।হুগলি গ্রামীণ পুলিশের বিভিন্ন থানা থেকে ওসিরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ডিএসপি অ্যাডিশনাল এসপি পদ মর্যাদার অফিসাররা মোতায়েন থাকেন। ড্রোন ক্যামেরায় চলে নজরদারী।
শ্রীরামপুরের মাহেশে জগন্নাথ মন্দিরে সকাল থেকে পুজো পাঠ হয়। বিকালে হয়ে থাকে রথের টান। কিন্তু গুপ্তিপাড়ায় রথের প্রথম টান হয় বেলা বারোটায়। এই রথযাত্রা দেখতে বর্ধমান নদিয়া উত্তর ২৪ পরগণা থেকে বহু মানুষ আসেন। ভক্তের ভিড়ে গমগম করে রথের সড়ক। রথযাত্রার রাস্তা এবং গোটা মাঠ জুড়ে মেলা বসে। আর সবার জন্য থাকে ভোগের ব্যবস্থা।