• 'কার সঙ্গে ঘুরছেন...' কসবার কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে কল্যাণ-মন্তব্যে বিতর্ক
    আজ তক | ২৭ জুন ২০২৫
  • Kasba Law College Case: কসবায় আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা তুঙ্গে। সেই সঙ্গে ঘটনার সময় কলেজে নিরাপত্তা রক্ষীরা কোথায় ছিলেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি তিনি এও জানিয়ে দিলেন যে, 'কলেজে কলেজে পুলিশ বসানো সম্ভব নয়।' পুরুষদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, 'নারীদের রক্ষা করার দায়িত্ব পুরুষ সহকর্মীদেরই। কলেজে কলেজে পুলিশ বসানো যায় না। কিছু বিকৃত মনের লোক এই ধরনের অপরাধ করে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'

    তিনি আরও বলেন, 'মেয়েদেরও উচিত এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।' তবে এ-ও বললেন যে, 'কিন্তু তাঁরা কাদের সঙ্গে ঘুরছেন, সেই বিষয়েও সতর্ক থাকা উচিত।'
    ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কল্যাণ। বলেছেন, 'সরকারি কলেজ হলেও, কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোনও
    গাফিলতি থাকলে সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত।'মূল অভিযুক্তের TMC-যোগ
    মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা রয়েছে— ‘সাংগঠনিক সম্পাদক, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ’। এছাড়াও একসময় কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের ‘প্রেসিডেন্ট’-এর পদেও ছিল সে। তার প্রোফাইলজুড়ে বহু TMC নেতা, বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠান, সমাজসেবার ছবি।

    সূত্র অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যায় কসবার আইন কলেজে নির্যাতিতা ছাত্রী প্রথমে ইউনিয়ন রুমের পাশে থাকা একটি টয়লেটে যান। সেখানেই প্রথম হামলা চালানো হয় তাঁর উপর। পরে তাঁকে পাশের ঘরে টেনে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। মনোজিত ছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে বাকি দু’জন হলেন জায়েব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায়।

    মনোজিত সেই কলেজের প্রাক্তনী। তবে সে নিয়মিত কলেজে যাতায়াত করত। কলেজ পরিচালন কমিটির সুপারিশে তাঁকে অস্থায়ী কর্মী হিসাবেও নিয়োগ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কলেজে রীতিমতো পরিচিত মুখ ছিল সে।

    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ। তালবাগান ক্রসিং থেকে দু’জনকে এবং একজনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনজনের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে অভিযুক্তদের। পুলিশ তাদের হেফাজতে চেয়েছে।

    এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ফরেন্সিক টিমও। ঘটনাস্থল কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে নমুনা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মোবাইলের লোকেশন ডেটা ও কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করা হবে।

    ঘটনার সময় কলেজে কারা ছিলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে কারা ছিলেন— এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। কসবা থানার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে কলেজ কর্তৃপক্ষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 
  • Link to this news (আজ তক)