রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: নদিয়ার তেহট্টের সঙ্গে সুদূর নেদারল্যান্ডস-এর দূরত্ব কয়েক হাজার কিলোমিটার। সোশাল মিডিয়ায় তেহট্টের এক কিশোরীর সঙ্গে ওই দেশের এক যুবকের আলাপ হয়। ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে তেহট্ট পৌঁছে যান ওই যুবক! বিদেশি যুবককে এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকার বাসিন্দাদের। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়!
নেদারল্যান্ডস-এর বাসিন্দা হেনরিক্স নামে ওই যুবকের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে বেশ অনেক দিন ধরেই পরিচয় তেহট্টের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর। ঘটনাটি বেশ কয়েক দিন আগের। চলতি সপ্তাহের শুরুতে সেই দেশ থেকে নদিয়ার মায়াপুরে গিয়েছিলেন ওই যুবক। মায়াপুর থেকে ওই যুবক বাসে করে তেহট্ট যান। ওই কিশোরী স্থানীয় স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী বলে খবর। বাস থেকে নেমে ওই যুবক স্কুলের বাইরে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। স্থানীয়রা এক বিদেশিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রথমে তেমন কিছু মনে করেননি। তবে কিঞ্চিত গুঞ্জন ছড়িয়েছিল তাঁকে দেখেই। বেলা ১১টার পর থেকে হেনরিক্স সেখানে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন।
ঘণ্টা আড়াই পর ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বেরিয়ে হেনরিক্সের সঙ্গে দেখা করে। সেই ঘটনা জানতে পেরে স্কুলের তরফে ওই ছাত্রীকে দ্রুত স্কুলের ভিতরে নিয়ে যায়। ওই কিশোরীর পরিবারকেও খবর পাঠানো হয়। তারপরেও ওই স্কুলের আশপাশে দীর্ঘক্ষণ ওই ডাচ যুবককে ঘুরতে, দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কয়েক ঘণ্টা ধরে বিদেশি যুবককে এলাকায় ঘুরতে দেখে, স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কথা বলার খবর জানতে পেরে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। কোন মতলবে তিনি এখানে ঘোরাঘুরি করছেন? জানার জন্য স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরে ধরেন। খবর দেওয়া হয় তেহট্ট থানায়। পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর আসার কারণ জানতে চাওয়া হয়। তাঁর পরিচয়পত্র, কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্যই তাঁর সেখানে আগমন। সেই কথা পুলিশ জানতে পারে। তাঁর সব পরিচয়পত্র ঠিক থাকায় পুলিশ ওই ডাচ যুবককে ছেড়ে দেয়। তিনিও নিজের বাড়ির উদ্দেশে ফিরে যান বলে খবর।