মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: শুরু হয়েছিল প্রায় ৩০০ বছর আগে। প্রথা মেনে এখনও হাওড়ার খালনায় অন্যভাবে পালিত হয় রথ। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা নয়, জয়পুরের খালনার রায় পরিবারের রথে থাকেন দেবীদুর্গা, রাধাকৃষ্ণ ও ধর্মরাজ ক্ষুদিরায়।
আজ থেকে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বছর পূর্বে রায় পরিবারের রথ শুরু হয়েছিল। তা এখনও চলছে। হাওড়ার খালনার রায় পরিবারের এই রথ অত্যন্ত জনপ্রিয়। জানা গিয়েছে, খালনায় তিনটি রায় পাড়া রয়েছে। প্রথমটি হল সিংহরায়, দ্বিতীয়টি কৃষ্ণরায়, তৃতীয়টি ক্ষুদিরায়। এই তিনটি রায় পরিবারের নামে তিনটি জায়গার নামকরণও হয়েছে। রথের দিনে তিন রায় পরিবারের তিনটি রথ একসঙ্গে যাত্রা শুরু করে। ক্ষুদিরায় তলা থেকে খালনা বাজার পর্যন্ত রথ নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর খালনা বাজারে তিনটি রথ রাখা হয়। উলটো রথের দিনে সেগুলোকে ফিরিয়ে পুনরায় মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর চলে পুজো।
রায় পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রথে একাধিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে রথে থাকেন জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম। খালনার এই রায় পরিবারের রথে থাকেন সিংবাহিনী দুর্গা এবং ধর্মরাজ ক্ষুদিরায়। এছাড়া রাধাকৃষ্ণ থাকেন। সিংহরায় পরিবারের রথে থাকেন দেবীদুর্গা। কৃষ্ণরায় পরিবারের রথে থাকেন রাধা কৃষ্ণ। আর ক্ষুদিরায় পরিবারের কাছে থাকে ধর্মরাজ ক্ষুদিরায়। এই রথের আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল, এখানে ন’টির বদলে রথে পাঁচটি চূড়া থাকে। প্রতিটি রথে দুটি করে ঘোড়া থাকে। কৃষ্ণরায় পরিবারের সদস্য জয় রায় বলেন, “তারাপীঠের পর একমাত্র আমাদের এখানেই এই ধরনের রথ হয়। আগে আমাদের এখানে রাধাকৃষ্ণের রথ হত। পরবর্তীকালে আমাদের ব্রাহ্মণ স্বপ্নদেশ পান সিংহবাহিনী রথ এবং ক্ষুদিরায়ের রথ প্রচলনের।”