• মহিষাদলে রথ টানার সময়ে পড়ে গিয়ে আহত ১১, নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ স্থানীয়দের
    এই সময় | ২৮ জুন ২০২৫
  • মহিষাদলের রথযাত্রা চলাকালীন ভিড়ের মাঝে পড়ে গিয়ে আহত এগারো জন মহিলা দর্শনার্থী। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। 

    মহিষাদলের ২৪৯ বছরের প্রাচীন রথ। পুরী-মাহেশের পর এই রথের স্থান। স্থানীয়দের দাবি, দশকের পর দশক রথ হলেও কখনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। এই প্রথম রথ টানতে গিয়ে প্রায় এগারো জন আহত হয়েছেন। যে রাস্তা দিয়ে রথ টানা হচ্ছিল, সেখানেই রাস্তার গর্তে পড়ে যান কয়েকজন। তাঁদের উপরে পড়ে যান পিছন দিক থেকে আসা আরও কয়েকজন দর্শনার্থী।

    হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হন কয়েকজন। যার মধ্যে অধিকাংশ মহিলা। কয়েকজনকে প্রথমে বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হায়। দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের  তাম্রলিপ্ত  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 

    স্থানীয়দের অভিযোগ, অন্যান্য বছর পুলিশ প্রশাসনের যথেষ্ট নিরাপত্তা থাকলেও এই বছর পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা তেমন ছিল না। এনসিসির ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী  জানান, পুলিশ প্রশাসনের বেশিবভাগ দিঘায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে। পর্যাপ্ত পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা না থাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করেছি।

    বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হুগলির মাহেশের পর দ্বিতীয় বৃহত্তর কাঠের রথ মহিষাদলের রথ। তার নিরাপত্তার দিকটি প্রশাসনের দেখা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন বলে সব পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক থেকে কর্মীরা সকলেই নিরাপত্তায় ব্যস্ত। প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তার দিকটি দেখলে এই ঘটনা ঘটতো না।’

  • Link to this news (এই সময়)