গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বর্ধমানে। মৃত গৃহবধূর নাম সুলতান পারভিন। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে গৃহবধূর পরিবারের তরফে। তরুণীকে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক নির্যাতন করা হতো বলেও অভিযোগ পরিবারের। তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মাস আটেক আগে গলসির কুড়মুনা চন্দনপুর গ্রামের প্রীতম নন্দীর সঙ্গে কুরকুবা গ্রামের সুলতানা পারভিনের বিয়ে হয়। গৃহবধূর উপর দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অত্যাচার চালানো হতো বলে দাবি তাঁর পরিবারের। নির্যাতনের খবর পেয়ে তাঁকে গতকাল শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনছিলেন বাবা-মা ও আত্মীয়রা।
অভিযোগ, তখনই শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাধা দেয়। বধূর বাপের বাড়ির লোকজনকে মারধর করা হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়ি থেকে ওই বধূকে নামিয়ে নেওয়া হয়। বধূকে নিজের বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। এর পর আজ, শুক্রবার সকালে ওই বধূর দেহ উদ্ধার হয়। বধূর পরিবারের দাবি, তাঁকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়েই এ দিন সকালে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয় বধূর বাপেরবাড়ির লোকজন। বধূকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে উত্তেজিত হয়ে মৃতার শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালান হয় এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গলসি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘বিষয়টি প্রাথমিক স্তরে আছে, তদন্ত হলে পরবর্তী সময় জানানো হবে।’