আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল সারা বিশ্ব। ২০২৪-এর অগস্টের সেই ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিল ২৭ জুন, শুক্রবার প্রকাশ্য়ে আসা আর এক ধর্ষণের ঘটনা। বুধবার, ২৫ জুন দক্ষিণ কলকাতার একটি ল' কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কসবা থানার পুলিশ। শুক্রবার আলিপুর আদালত ওই তিন অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল।
শুক্রবার পুলিশের কাছে নির্যাতিতা যে লিখিত অভিযোগ নথিভুক্ত করেছেন, তাতে গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেওয়া রয়েছে। কিন্তু ল' কলেজে ভিতরে গণধর্ষণের অভিযোগের কথা প্রকাশ্যে আসার পরে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন:
পুলিশ ওই গার্ডদের খোঁজ শুরু করেছে কি না, সে ব্য়াপারে এখনও কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। যদিও পুলিশের একটি সূত্র বলছে, তাঁদের এই ঘটনায় তলব করতে ইতিমধ্য়েই প্রস্তুতি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, ল' কলেজের ছাত্রী ধর্ষিতা হয়েছেন, এ কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য-রাজনীতিতে। পুলিশ সূত্রের খবর, তিন ধৃতের মধ্যে একজন ওই ল' কলেজেরই প্রাক্তনী।
অভিযুক্তের ‘শাসক-যোগ’ নিয়েও সরব বিরোধীরা। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ‘অভিযোগ সত্যি হলে যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করছি।’ এ দিকে, এই ঘটনায় বড় আন্দোলনের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।