অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভুয়ো পাসপোর্ট দেখিয়ে এদেশে প্রবেশ, বসবাসের অভিযোগে ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিককে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলার মধ্যমগ্রাম ও নৈহাটির ঠিকানায় তাঁর ভোটার কার্ড রয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এবার খোঁজ মিলল নৈহাটির হাজিনগর কারিগর পাড়ার বাসিন্দা ‘আসল’ আজাদ মল্লিকের! আর তিনি গোটা বিষয়টি জানতে পেরে যেমন বিস্মিত, তেমনই ব্যাপক আতঙ্কিত। আজাদের কথায়, “আমি নৈহাটি জুটমিলে কাজ করি। আমার তো এখানেই জন্ম হয়েছে। আমি জানি না আমার নামে কীভাবে জাল নথি বানানো হয়েছে। সেই জাল ভোটার কার্ডে বাবার নামও মোনা মল্লিক রয়েছে। তবে ছবিটা আলাদা।”
জানা গিয়েছে, এপিক নম্বরও জাল ভোটার কার্ডে আলাদা। এই প্রসঙ্গে নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে বলেন, “আজাদ মল্লিকের বিষয় নিয়ে আজ থেকে দু’মাস আগে সরকারি তরফে একটি তদন্ত হচ্ছিল। আমার কাছেও এনিয়ে জানতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তখন আমি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, পরিবারটি প্রায় ৬০-৬৫ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে। ছেলেটিও মিলে কাজ করে। আমার মনে হয়, আমাদের এখানকার বাসিন্দা আজাদ এসবের সঙ্গে যুক্ত নয়। সে বেমালুম এসব ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছে। ওকে বলেছি, থানায় এনিয়ে অভিযোগ জানাতে।”
প্রসঙ্গত, পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডের তদন্তে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে গ্রেপ্তার হয় আজাদ মল্লিক। তদন্তে জানা গেছে, সে আসলে পাকিস্তানি নাগরিক। পরিচয় বদল করে এখানে ভিসার আবেদন করেছিল। এদেশে ঢুকে দু’টি ভোটার কার্ড-সহ বেশ কয়েকটি বার্থ সার্টিফিকেট ও একাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিল সে। এর মধ্যেই একটি ভোটার কার্ড ছিল নৈহাটির। যার পরিচয় দিয়ে সেই ভুয়ো কার্ড বানানো হয়েছিল, এবার নৈহাটির সেই বাসিন্দা ‘আসল’ আজাদ মল্লিকের খোঁজ পাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে বাবার নাম-সহ প্রায় সব তথ্য জেনে ভুয়ো পরিচয় পত্র বানাল ওই পাকিস্তানি নাগরিক? তা জানতে চান ‘আসল’ আজাদও।