সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবায় (Kasba Case) আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া যুবকদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিস্তর চাপানউতোর চলছে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বলে অভিযোগে সরব বিরোধী এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ধৃতের পরিচয় স্পষ্ট করে দিলেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। স্পষ্ট জানালেন, যে কলেজের ঘটনা, সেই কলেজে টিএমপিসির রানিং ইউনিটই নেই। তাহলে সেখানে কীভাবে ইউনিট প্রেসিডেন্ট থাকবে? তবে ওই যুবকের সঙ্গে একেবারেই তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেননি তিনি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে নিজের ব্যর্থতাও মেনে নিয়েছেন তৃণাঙ্কুর।
শুক্রবার সকাল থেকে কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে। বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা, অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। মূল অভিযোগ, কসবার আইন কলেজের ওই ছাত্রীকে ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযোগ দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যেহেতু মূল অভিযুক্তর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য এবং কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী বলে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, সেই কারণে আঙুল উঠেছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের দিকে। এনিয়ে তীব্র নিন্দা শুরু হতেই বিকেলে গোটা বিষয়টি জনতার স্পষ্ট করার জন্য তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলণ করেন তিনজন।
বিষয়টি নিয়ে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর বক্তব্য, ”আমি দায়িত্ব সহকারে বলছি, যে কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে, ওই কলেজে ছাত্র পরিষদের কোনও রানিং ইউনিট নেই। তাই ইউনিট প্রেসিডেন্টও ছিল না। তবে ওই অভিযুক্ত যখন ছাত্র ছিল, তখন ছাত্র সংগঠনে তার একটা ছোট্ট পদ ছিল। সেটা অবশ্য টিএমসিপির ব্যর্থতা, তা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু ২০২২ সালে জেলা সভাপতি টিএমসিপির যে কমিটি তৈরি করেছিল, তাতে অভিযুক্তের নাম নেই।” একথা বলার সময় তিনি ওই কমিটির নথিও দেখান সংবাদমাধ্যমের সামনে। টিএমসিপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, ঘটনার প্রতিবাদ, প্রতিকারের চেয়েও এখানে তৃণমূল এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে কলুষিত করার চেষ্টা চলছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।