ব্যবসায়ীরা কুইন্টাল প্রতি ২ কেজি ধান বেশি নেওয়ায় ক্ষুব্ধ চাষিরা
বর্তমান | ২৮ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: কৃষকদের থেকে ধান কেনার সময় কুইন্টাল প্রতি দু’কেজি বেশি নেওয়ায় নিষ্ফলা হল প্রশাসনিক বৈঠক। গত বুধবার হলদিবাড়ি ব্লকের দেওয়ানগঞ্জ ধান হাটিতে কৃষকদের থেকে কুইন্টাল প্রতি দু’কেজি করে ধান বেশি নিচ্ছিল ব্যবসায়ীরা। এরপর কৃষকরা একত্রিত হয়ে ব্যবসায়ীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় উপস্থিত হন হলদিবাড়ির বিডিও এবং আইসি। তাঁরা কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শুক্রবার সকালে ধান ব্যবসায়ী ও কৃষকদের নিয়ে হলদিবাড়ি কৃষিফার্মে হলদিবাড়ি ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তার অফিসের একটি প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়। উপস্থিত ছিলেন হলদিবাড়ির বিডিও রেঞ্জি লামু শেরপা, যুগ্ম বিডিও অলোকরঞ্জন বসাক, হলদিবাড়ি থানার আইসি কাশ্যপ রাই, হলদিবাড়ি ব্লকের সহ কৃর্ষি অধিকর্তা দ্বীপ সিনহা, দেওয়ানগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুকুমার রায়। বৈঠকে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা নিজের নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় এদিনের বৈঠকে কোনও সুরাহাই হয়নি। তবে ব্লক সহ কৃর্ষি অধিকর্তা জানান, খুব শীঘ্রই কৃষক ও ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কৃষক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হবে।
বৈঠকের পর কৃষক হাচেন আলি বলেন, বুধবার আমাদের মতো চাষিদের থেকে কুইন্টাল প্রতি দু’কেজি ধান বেশি নেওয়ায় দেওয়ানগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। ফলে এদিন একটি প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ব্যবসায়ীরা নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় বৈঠক থেকে কোনও ফল বের হল না।
এদিকে ব্যবসায়ীদের তরফে আলিউল ইসলাম সরকার জানান, আগামীতে একটি তারিখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কৃষক সংগঠনের নেতা ও কৃষকদের নিয়ে বৈঠক হবে। শনিবার থেকে বাজারগুলিতে আমরা ধান কেনা শুরু করব। তারপর থেকে যদি কৃষকরা ঝামেলা করেন, তাহলে যা ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার প্রশাসন করবে। হলদিবাড়ির ধানের গুনগত মান একটু খারাপ থাকায় মিল মালিকরা কুইন্টাল প্রতি দু’কেজি ধান কেটে নেয়। এরপর আমরা কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি দু’কেজি ধান বেশি নেই। ফলে গত বুধবার দেওয়ানগঞ্জ বাজারে এসইউসিআই’র কয়েকজন কৃষক ঝামেলা করেন। তাই এদিন প্রশাসনের তরফে বৈঠক হয়।