নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: দিনে গাড়ি চালক। রাতে অস্ত্র পাচারকারী। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিশেষ অভিযানে ২৯ বছরের এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তারের পর এমনই অনুমান পুলিসের। ধৃতের নাম মাসুম আলি। বাড়ি কর্ণজোড়া হাটখোলা চৌরঙ্গী মোড় এলাকায়। শুক্রবার রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, সূত্র মারফত খবরের ভিত্তিতে ওই রাতে কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিস অভিযান চালায়। তাতেই মাসুম আলি নামে একজনের কোমরে গোঁজা একটি অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তার হয় মাসুম। ধৃতের কাছ থেকে পাওয়া যায় এক রাউন্ড গুলিও। তদন্তকারীরা ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিস জানতে পারে অস্ত্র নিয়ে এক বাইকচালক রাস্তায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছে। সতর্ক হয় পুলিস।মেন্দিগ্রামের রাস্তায় শুরু হয় জোরদার নাকা চেকিং। কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিসের দাবি, দূর থেকে পুলিসের নাকা চেকিং লক্ষ্য করে অভিযুক্ত বাইক ঘুরিয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। তাতেও পুলিস হাল ছাড়েনি। বিষয়টি নজরে পড়তেই সিনেমার কায়দায় পুলিসও বাইক নিয়ে পিছনে ধাওয়া করে অভিকযুক্তকে। শেষপর্যন্ত পুলিস ধরে ফেলে তাকে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত বেশ কয়েক বছর ধরে গাড়িচালক হিসেবেই পরিচিত। প্রাইভেট গাড়ি চালাত সে। পুলিসের অনুমান, ওই গাড়ি চালানোর সুবাদেই অস্ত্র পাচারের কারবারে সে জড়িয়েছে। এব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে জেলা আদালতে হাজির করা হয়। তাকে পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, গত মাস থেকে এপর্যন্ত রায়গঞ্জ থানার পুলিস এনিয়ে ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ছ’জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়াও দিনকয়েক আগে ইটাহার থানা এলাকা থেকেও একজন অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার হয়। ধৃতের সঙ্গে পুলিস আধিকারিকরা। -নিজস্ব চিত্র