সংবাদদাতা, বালুরঘাট: সীমান্তে কাঁটাতারের ওপারে কৃষিজমিতে যেতে বাধা। বিএসএফের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে সরব বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুলকিপুরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, কাঁটাতারের ওপারে নিজস্ব জমিতে চাষাবাদ করতে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকী বিএসএফের বিরুদ্ধে যখন-তখন হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়েছে। গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে বালুরঘাটে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। জেলাশাসক সহ সমস্ত প্রশাসনিক স্তরের অভিযোগও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী চাষিরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বালুরঘাট ব্লকের ভুলকিপুর সীমান্ত এলাকায় বহু কৃষকের জমি কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় কাঁটাতার দেওয়া নিয়েও বিএসএফের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। এবার সমস্যা ওপারে যাওয়া নিয়ে। কাঁটাতারের ওপারে গিয়ে নিজের জমিতে কৃষিকাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ কৃষকদের। অনুমতি নিতে গেলেও দ্রুত অনুমতি দিচ্ছে না বিএসএফ। এতে হয়রান হচ্ছেন সীমান্তের চাষিরা। বিএসএফের আধিকারিকরা কেউই এবিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। বাহিনী সূত্রে খবর, বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় সীমান্তে কড়াকড়ি চলছে। তবে বিএসএফের তরফে চাষিদের কাঁটাতারের ওপারে যেতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। যদিও অন্য কথা চাষিদের মুখে। নীলমণি মুর্মু বলেন, ওপারে চাষ করতে গেলেই হয়রানি করছে বিএসএফ। যখন-তখন তল্লাশি চালাচ্ছে। কাঁটাতারের ওপারে যেতে দ্রুত অনুমতি মিলছে না বিএসএফের তরফে। আমরা বিএসএফকে বহুবার জানিয়েছি। অমৃতখণ্ড গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান দেবদূত বর্মন বলেন, গ্রামবাসীরা আমার কাছে এসেছিল। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। বালুরঘাটের বিডিও সম্বল ঝায়ের বক্তব্য, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। সীমান্তের মানুষের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার। তাঁর মন্তব্য, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক। বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কিংবা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলে এই সমস্যা মিটে যাবে, আশা বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর।