• কান্দিতে ঘর থেকে হাতুড়ের নলি কাটা দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ২৮ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: কান্দি থানার মাহাদিয়া গ্রামে ঘরের ভিতর থেকে কোয়াক ডাক্তারের গলার নলি কাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম আশিস মুখোপাধ্যায়(৪৬)। শুক্রবার সকালে এঘটনায় ওই গ্রামে শোরগোল পড়ে। স্থানীয়রাই ঘরের দরজা ভেঙে প্রথমে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আশিসবাবু নিজেই বঁটি দিয়ে গলার নলি কেটে আত্মঘাতী হয়েছেন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিস তদন্তে নেমেছে। পুলিস ও মৃতের পরিবার জানিয়েছে, ২০বছর আগে গ্রামেরই এক যুবতীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন আশিসবাবু। ওই দম্পতির এক ছেলে রয়েছে। প্রায় পাঁচবছর আগে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আশিসবাবুর স্ত্রী কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায় বাপের বাড়ি চলে যান। ওই দম্পতির ছেলে বাবার কাছেই থাকে। সে স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে। এছাড়া বাড়িতে আশিসবাবুর মা পূজিতা মুখোপাধ্যায় থাকেন। আশিসবাবু আগে কান্দি শহরে একটি ওষুধের দোকানে কাজ করতেন। কিন্তু স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ার পর তিনি সেই কাজ ছেড়ে দেন। কিছুদিন পর বাড়িতেই একটি চেম্বার খুলে বসেন। সেখানেই রোগী দেখে ওষুধ দিতেন। তবে স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ার পর অবসাদে ভুগতেন তিনি। এদিন বেলা ১টা বেজে যাওয়ার পরও তিনি ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের লোকজন দোতলার ঘরে তাঁকে ডাকতে যান। কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। এরপর পড়শিদের ডেকে ওই দরজা ভাঙতেই হাড়হিম করা দৃশ্য দেখা যায়। আশিসবাবুর গলার নলি কাটা রক্তাক্ত দেহ মেঝেয় পড়ে ছিল। হাতখানেক দূরে পড়ে ছিল একটি রক্তমাখা বঁটি। পুরো ঘরে রক্তের দাগে কালসিটে পড়ে গিয়েছিল। আশিসবাবুর ছেলে বলে, কেন এমন হল কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে মা চলে যাওয়ার পরই বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। পূজিতাদেবী জানান, ছেলে কেন এমন কাজ করল বুঝতে পারছি না। তবে সংসারের চরম ক্ষতি হল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য চণ্ডীচরণ ঘোষ বলেন, স্ত্রী চলে যাওয়ায় উনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এর আগেও কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে শুনেছি।
  • Link to this news (বর্তমান)