দীঘায় কৃষ্ণনগরের জগন্নাথ মূর্তি বিক্রি করে লক্ষ্মীলাভ গোবিন্দ ও বলাইয়ের
বর্তমান | ২৮ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘা: রথে দীঘায় মূর্তি বিক্রি করে মুখে চওড়া হাসি রানাঘাটের গোবিন্দ অধিকারী ও আমডাঙার বলাই ঘোষের। বৃহস্পতি ও শুক্রবার, দু’দিনে প্রায় ১০ হাজার টাকার মূর্তি বিক্রি করলেন তাঁরা। পুরুলিয়া, বনগাঁ, টালিগঞ্জ, কিংবা বাঁকুড়ার জয়পুর থেকে রথ দেখতে আসা ভক্তরা লাইন দিয়ে প্রভুর মূর্তি কিনলেন। দীঘায় কৃষ্ণনগর ও নবদ্বীপে তৈরি জগন্নাথ প্রভুর পাথরের ও মাটির মূর্তির ভীষণ চাহিদা রয়েছে। বুধবার রাতেই দুই বন্ধু গোবিন্দ ও বলাই মূর্তি নিয়ে দীঘায় চলে আসেন। তাঁরা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে যাওয়ার মোড়ে নিউ দীঘায় রাস্তার ধারে একটি দোকান পেতেছিলেন। দু’দিনে প্রচুর মূর্তি বিক্রি হয়েছে। উল্টোরথ পর্যন্ত তাঁরা প্রভুর মূর্তি বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।দীঘার ওই স্টলে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৭০ টাকা দামের জগন্নাথ মূর্তি রয়েছে। রথ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকেই দীঘায় ভক্তদের ঢল নামে। ওইদিন প্রায় চার হাজার টাকার মূর্তি বিক্রি হয়েছে। রথের দিন আরও ছ’হাজার টাকার মূর্তি বিক্রি করেছেন দুই বন্ধু। বিভিন্ন আকারের মূর্তি কিনতে উৎসাহী ভক্তদের ভিড় জমে স্টলে। দীঘায় রথে এভাবে মূর্তি বিক্রি হবে, তা ভাবতেও পারেননি দুই বন্ধু। শুক্রবার সকালে দীঘায় বৃষ্টি হয়। তার জেরে রাস্তায় বের হওয়া মানুষজন সমস্যায় পড়েন। আবহাওয়ার অবস্থা দেখে বলাই ও গোবিন্দের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে রথের দিন ব্যবসা মাটি হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছিলেন। তবে, প্রভুর আশীর্বাদে অবশ্য দ্রুত আবহাওয়ার উন্নতি হয়। রাস্তায় ভক্তদের ঢল নামে। গোটা রাজ্যের নানাপ্রান্ত থেকে ভক্তরা প্রথম বছর দীঘার রথযাত্রার সাক্ষী থাকতে হাজির হন। পথচলতি মানুষজন গোবিন্দ ও বলাইয়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। পাথরের মূর্তি কিনে বাড়ির দিকে রওনা দেন।বলাই ও গোবিন্দ বলেন, দীঘায় এবার রথে লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আমরা আগে থেকেই জানতাম। মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে দীঘায় জগন্নাথ প্রভুকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। এহেন অবস্থায় আমরা কৃষ্ণনগর ও নবদ্বীপে তৈরি জগন্নাথ মূর্তি নিয়ে এখানে স্টল দেব বলে সিদ্ধান্ত নিই। সেইমতো বুধবার দীঘায় পৌঁছই। একটা হোটেলে ওঠার পর বৃহস্পতিবার থেকেই দোকান দিই। রাত ১১টা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়েছে। দু’দিনে প্রায় ১০ হাজার টাকার মূর্তি বিক্রি হয়েছে। জগন্নাথদেবের আশীর্বাদে হাসিমুখে বাড়ি ফিরব।