• তালডাংরায় জালনোট সহ গ্রেপ্তার ২
    বর্তমান | ২৮ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: শুক্রবার তালডাংরায় ৫০০ টাকার জালনোট সহ দুই যুবককে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গোলাম খান(৩৫) ও দুলাল হাসান মল্লিক(২৫)। তাদের বাড়ি তালডাংরার পাঁচমুড়া অঞ্চলের লালবাঁধে। এদিন সকালে তালডাংরা বাজারের একটি মনোহারি দোকানে সামগ্রী কেনার সময় ধৃতরা ব্যবসায়ীকে জালনোট দেয় বলে অভিযোগ। দোকানদার ও স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় দু’জনকে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস গিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের কাছ থেকে চারটি ৫০০ টাকার জালনোট উদ্ধার হয়।

    বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, প্রিন্টারের সাহায্যে বাড়িতেই জালনোট তৈরি করত বলে ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছে। এদিন দু’জনকে খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন। হেফাজতে থাকাকালীন ধৃতদের জেরা করা হবে। এর আগে তারা আর কোথাও জালনোট ছড়িয়েছে কি না, তা দেখা হবে।

    ওই ব্যবসায়ী বলেন, শুক্রবার সকালে ওই দু’জন আমার দোকানে জিনিসপত্র কিনতে এসেছিল। ৫০০ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দেয়। সেটি যে আসল নয়, হাতে নিয়েই সেটা বুঝতে পারি। বেশ কিছুক্ষণ খুঁটিয়ে দেখার পর সন্দেহ বাড়ে। আশপাশের দোকানদার ও স্থানীয়দের নোটটি দেখাই। তখন অনেকেই সেটি জাল বলে অনুমান করেন। ওই দু’জনকে আটকে রেখে পুলিসকে খবর দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে তৈরি জালনোট সীমান্ত হয়ে এদেশে ঢোকে। ‘হ্যান্ডলার’রা তা দেশীয় বাজারে ছড়িয়ে দেয়। তার বিনিময়ে তারা জালনোটের কারবারিদের কাছ থেকে ‘পারিশ্রমিক’ পায়। কিন্তু, তালডাংরার ধৃতদের দাবি, তারা বাড়িতেই ওই জালনোট ছাপিয়েছিল। আপাতদৃষ্টিতে ওই নোট আসল বলেই মনে হবে। অন্ধকার বা ভিড়ের মধ্যে ওই নোট লেনদেন হলে বোঝা মুশকিল। মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা থেকে হামেশাই জালনোট উদ্ধার হয়। ফলে সেখানকার ব্যবসায়ী সহ সকলেই লেনদেনের সময় সতর্ক থাকেন। কিন্তু, বাঁকুড়ার মতো জেলায় সচরাচর জালনোট পাওয়া যায় না। ফলে বিষয়টি নিয়ে পুলিসের উদ্বেগ বেড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও এব্যাপারে চিন্তিত। এর পিছনে বড়সড় কোনও চক্র রয়েছে কি না, তা পুলিসের খতিয়ে দেখা উচিত বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত।
  • Link to this news (বর্তমান)