নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: অনলাইন ডেটিং অ্যাপে তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সল্টলেকের এক ৬৩ বছরের বৃদ্ধের। টেলিগ্রামে চ্যাট করতেন দু’জনে! ওই তরুণীর কথায় বৃদ্ধ অনলাইনে জীবনের সমস্ত রোজগার বিনিয়োগ করে দিয়েছিলেন। এমনকী, নিজের ফ্ল্যাটও বিক্রি করে তরুণীর কথায় ইনভেস্ট করেছিলেন তিনি। পরে বুঝতে পারেন, ওই তরুণী বন্ধু নন, তিনি প্রতারক! তাঁর ফাঁদে পা দিয়ে ৬৬ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন তিনি! টাকা ফিরে পেতে তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিসের কথায়, বর্তমানে এই ধরনের ইনভেস্টমেন্ট ফ্রড বা অনলাইনে বিনিয়োগ করে প্রতারণার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। বিধাননগর কমিশনারেট প্রতিনিয়ত এ ব্যাপারে সচেতন করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে পদস্থ অফিসাররা বারংবার এ নিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করছেন। তারপরেও বেশি লোভের আশায় অনেকেই এই টোপ গিলে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনে ডেটিং অ্যাপে ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ওই বৃদ্ধের। গত ১৪ এপ্রিল পরিচয় হওয়ার পর দু’জনের কথোপকথন চলতে থাকে। ২১ এপ্রিল ওই তরুণী তাঁকে বেশি রিটার্নের কথা বলে অনলাইনে বিনিয়োগের টোপ দেন। তারপর টেলিগ্রাম গ্রুপে ওই বৃদ্ধকে যুক্ত করে চলে মগজধোলাই। প্রথমে ওই বৃদ্ধ মাত্র ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তারপর অল্প অল্প করে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে থাকেন। এরপর কিছু টাকা রিটার্নও পান। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হওয়ার পর তরুণীর কথায় তিনি ধাপে ধাপে মোট ৬৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেন। তার জন্য নিজের একটি ফ্ল্যাট বিক্রির পাশাপাশি, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমানো টাকা তুলে বিনিয়োগ করেন। কিছুদিন পর বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। শেষমেশ বৃহস্পতিবার তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধ অভিযোগপত্রে তরুণীর নাম, ডেটিং প্ল্যাটফর্মের নাম এবং টেলিগ্রাম গ্রুপের নাম উল্লেখ করেছেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।