• বাসের অযোগ্য বাড়ি, পুরসভার বাধা, চলছে নিশ্চিন্ত যাপন
    এই সময় | ২৮ জুন ২০২৫
  • এই সময়: বিপজ্জনকই শুধু নয়, অতি বিপজ্জনক বাড়ি। বর্ষার মরশুমে হয়ে ওঠে আরও বিপজ্জনক। যে কোনও সময়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার শঙ্কা থাকে। মাথার উপরে ছাদের এমন অনিশ্চয়তার কথা জেনেও, অতি বিপজ্জনক বাড়িতেই চলছে নিশ্চিন্ত যাপন।

    এই সব বাড়ির বাসিন্দাদের বিপন্মুক্ত করতে সমস্যায় পড়ছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘পুরসভা সরাতে গেলেই এই রকম বাড়ির বাসিন্দারা আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন। তখন আমাদের কিছু করার থাকে না। পুরো প্রক্রিয়াটাই স্থগিত করতে হয়।’

    দক্ষিণ কলকাতার তুলনায় উত্তর, মধ্য এবং পূর্ব কলকাতায় এই রকমের বাড়ির সংখ্যা বেশি—এমনটাই পুরসভা সূত্রে খবর। কলকাতা জুড়ে প্রায় চার হাজার বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে বলেই পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    এগুলির মধ্যে, ৮৫০টির বেশি অতি বিপজ্জনক। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার বিজয় ওঝা অতি বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার প্রস্তাব দেন।

    তাঁর দাবি, এই বাড়িগুলো ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে বর্ষায়। ওই অধিবেশনেই ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে জানতে চান, এই সব বাড়িতে বসবাসকারীদের সুরক্ষা নিয়ে কলকাতা পুরসভার পরিকল্পনা কী?

    উত্তর দিতে গিয়ে মেয়রের গলায় ছিল অসহায়তার সুর। তিনি বলেন, ‘পুরসভা আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করলেই ওখানকার বাসিন্দারা আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন। তখন কিছু করার থাকে না।’

    উত্তর কলকাতার কাশীপুরে এমনই একটি অতি বিপজ্জনক বাড়িতে থাকেন রতন শর্মা। তাঁর কথায়, ‘ঘর ছাড়লেই আমরা থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলব। তাই ঘর ছাড়ব না। কপালে থাকলে বিপদ হবে।’

    পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ঝড়, বৃষ্টির সময়েও অতি বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরানো যায় না। তাঁরা নানা রকমের যুক্তি দিয়ে তাঁরা সেখানেই থেকে যান।

  • Link to this news (এই সময়)