স্টাফ রিপোর্টার: ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে (এমএসএমই) মহিলাদের নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। এ রাজ্যে এই সেক্টরে ৯৩ লক্ষেরও বেশি মানুষের উদ্যোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উদযাপন উপলক্ষে কলকাতায় ফিকির ((Focus on Innovation, Knowledge, and Research)) এক অনুষ্ঠানে একথা জানান এমএসএমই ও টেক্সটাইল দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডে।
শুক্রবার তিনি রাজ্যের শক্তিশালী এমএসএমই ইকোসিস্টেমের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ক্লাস্টার ভিত্তিক উন্নয়ন, এসআইপি প্রকল্প এবং কারিগরদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এমএসএমই বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছে। গত দশকে রাজ্যে এমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণে ২২% চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর ঋণ বিতরণ ২ লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
ফিকির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিষদের উদ্যোগে ‘এক মজবুত ভবিষ্যতের জন্য এমএসএমই-দের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ফিকি সেন্টার ফর সাসটেইনেবিলিটি লিডারশিপ-এর সহযোগিতায়। জার্মান ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের কনসাল জেনারেল (কোলকাতা) বারবারা ভস মহিলা নেতৃত্বাধীন এমএসএমই-দের বিষয়ে বর্ণনা করেন। পাশাপাশি ভারত ও জার্মানির মধ্যে সহযোগিতা ও জ্ঞান আদান-প্রদানের আহ্বান জানান, যাতে ভবিষ্যতের জন্য গতিশীল এমএসএমই গড়ে তোলা যায়।
ফিকি এমএসএমই কমিটি,পশ্চিমবঙ্গের চেয়ারম্যান আর. কে. ছাজের এবং ফিকি-সিএমএসএমই-সভাপতি গিরিশ লুথরা এমএসএমই ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার বিষয়ে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন।