• দশ বছর পরে চালু হচ্ছে চা নিলাম
    আনন্দবাজার | ২৮ জুন ২০২৫
  • আগামী সোমবার থেকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে চা নিলাম শুরু হচ্ছে। প্রথম সপ্তাহে উদ্বোধনী নিলামের জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার কেজি চা পাতা জলপাইগুড়িতে এসেছে। তার পরের সপ্তাহে নিলামের জন্য ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ির গুদামে এসেছে ৬০ হাজার কেজিরও বেশি চা পাতা।

    নিলাম শুরু হলে দাম দেখে আরও বেশি পাতা আসবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। প্রায় দুই লক্ষ চা পাতার ভাঁড়ার মজবুত করেই চায়ের জেলা জলপাইগুড়ি জেলায় ফের নিলাম শুরু হতে চলেছে। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে দু সপ্তাহে প্রায় দু লক্ষ কেজি চা আসার নেপথ্যে রয়েছে বটলিফ কারখানাগুলি।

    ২০০৫ সালে প্রথমবার জলপাইগুড়িতে চা নিলাম শুরু হওয়ার পরেই জোগান সঙ্কট শুরু হয়। চা পাতার অভাবে বন্ধ হতে থাকে পরের পর নিলাম।

    একাধিকবার বপিভিন্ন চা উৎপাদক গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও নিলাম কেন্দ্র চালানো সম্ভব হয়নি। ২০১৫ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে নিলাম বন্ধ হয়ে যায়। এত বছর পরে ফের নিলাম শুরু হচ্ছে। চা পর্ষদের অনুমোদন পাওয়ার পরে জলপাইগুড়ি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ নতুন কৌশলে নিলাম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। তাতেই সাফল্য এসেছে বলে দাবি।

    প্রথমত, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নগদ ছাড়ের সুবিধে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কেই সুবিধে দেওয়া হয়। ক্রেতারা চা পাতা কিনে দ্রুত পাওনা মেটালে নগদে ২ শতাংশ ছাড় পাবে এই কেন্দ্র থেকে। তাতে ক্রেতা-বিক্রেতারা উৎসাহিত হলেও মূল লড়াই ছিল চা পাতার জোগান। জলপাইগুড়িতে চা পাতার জোগান নিশ্চিত করতে বটলিফ কারখানার মালিকদের সঙ্গে শুরু হয় বৈঠক। ছোট চা বাগানের সঙ্গে কোনও মাঝারি এবং বড় চা বাগানের পাতা কিনে চা তৈরি করে যে কারখানাগুলি সেগুলিটে বটলিফ কারখানা বলে।

    এই কারখানার চা পেতে আলোচনা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। জলপাইগুড়িতে যে পরিমাণ চা এসেছে তার সিংহভাগই বটলিফ কারখানা থেকে এসেছে। উত্তরবঙ্গের বটলিফ কারখানার পরিচালকদের সংগঠনের কর্তা সঞ্জয় ধানুটি নিজেই জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র পুনরুজ্জীবন কমিটির মাথায় রয়েছেন।

    জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের সহ সভাপতি পুরজিৎ বক্সীগুপ্ত বলেন, “ভাল পরিমাণে চা জলপাইগুড়িতে এসেছে, আমরা খুশি। সকলের চেষ্টাতেই এটা সম্ভব হয়েছে।” আগামী সোমবারে উদ্বোধনী নিলামের আগে অনুষ্ঠানও হবে কেন্দ্রে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)