যাত্রার বাজার আবারও ফিরবে পুরনো চেহারায়— রথের দিনে বায়নার পরিমাণ দেখে এমন আশার আলো দেখছেন রানিসায়র মোড়ে যাত্রা দলের এজেন্সিগুলো।
রানিসায়র মোড়ে তিনটে যাত্রার এজেন্সি আছে। যাত্রা মন্দিরের কর্ণধার ভক্তি মাহাতো জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কারণে ২০২০ এবং ২০২১ সালে যাত্রা প্রায় বন্ধই ছিল। ২০২৩ সাল থেকে আবার যাত্রার পথ চলা শুরু হয়। তার পরের বছরে অবস্থা অনেকটাই পাল্টায়। সেই বছর তাঁরা চারশো পালার আয়োজন করেছেন বলে দাবি। রথের দিনেই প্রথম বায়না শুরু হয়। তাতে সারা বছরের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর রথের দিন বায়না কিছু বেশি হয়েছে। বায়না না দিয়ে খোঁজখবরও নিচ্ছেন অনেকে। তাতে তাঁদের ধারণা এ বছর অনেক বেশি পালা মঞ্চস্থ হবে। সবথেকে পুরনো নাট্য মন্দিরের কর্ণধার অরূপ ভাণ্ডারী জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর রথের দিন অনেক বেশি বায়না পেয়েছেন। তিনিও যাত্রার জোয়ার দেখা দিচ্ছে বলে জানান। যাত্রা নিকেতন এজেন্সির কর্ণধার বিপদতারণ মাজি জানান, রথের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬০টা পালার বায়না পেয়েছেন। প্রথম বায়নার দিনে যা অপ্রত্যাশিত সাফল্য মনে করছেন।
তবে এজেন্সিগুলির বক্তব্য, সব থেকে বেশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া তার পরে বীরভূম জেলায় বায়না বেশি হচ্ছে। শহরাঞ্চল থেকে বায়না সে ভাবে আসছে না। বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল থেকেই বায়না হয়েছে। যাত্রায় খলনায়ক বলে দীর্ঘ দিন ধরে পরিচিত কান্তি ভাণ্ডারী এ বছর কৃষ্ণকলি অপেরার হয়ে ‘নতুন সূর্য আলো দাও’ যাত্রায় অভিনয় করছেন। কান্তি জানান, বিশ্বকর্মা পুজো থেকে মে মাস পর্যন্ত যাত্রার চল আছে। সবথেকে বেশি হয় চৈত্র, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ মাসে। এ দিন তাঁদের অপেরা ২২টা পালার বায়না পেয়েছে। তাঁরাও মনে করছেন এ বছর গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ পালা মঞ্চস্থ করতে পারবেন। এজেন্সিগুলোর কর্ণধাররা জানান, ‘প্রলয় আসছে’, ‘একালের মহাভারত’, ‘আতা