কলকাতার কসবায় আইন কলেজে ধর্ষণকাণ্ডে এ বার নিজস্ব অনুসন্ধান কমিটি গঠন করল বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা চার সদস্যের এই কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। ওই কমিটির সদস্যেরা শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে আসবেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে যাবেন এবং তার পরে একটি রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেবেন নড্ডার কাছে।
চার সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন দুই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিংহ এবং মীনাক্ষী লেখী। এ ছাড়া বিজেপির লোকসভার সাংসদ বিপ্লবকুমার দেব এবং রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্রও রয়েছেন ওই কমিটিতে। বিজেপির এই অনুসন্ধান কমিটিতে সত্যপাল এবং বিপ্লবের থাকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সত্যপাল বর্তমানে বিজেপির নেতা। অন্য দিকে, বিপ্লব ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে এসে বিজেপির অনুসন্ধান কমিটির যাতে ভাষাগত সমস্যা না হয়, অনুমান করা হচ্ছে সেই কারণেই বিপ্লবকে রাখা হয়েছে এই দলে।
বস্তুত, বাংলায় বিজেপির নিজস্ব অনুসন্ধান কমিটি পাঠানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়। অতীতেও ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনায় বিজেপি দিল্লি থেকে নিজস্ব অনুসন্ধান দল পাঠিয়েছে এই রাজ্যে। এ বার কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ধর্ষণের ঘটনাতেও বিজেপি চার সদস্যের এক অনুসন্ধান কমিটি পাঠাচ্ছে বাংলায়।
যদিও এই কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই কমিটি বাংলায় এসে কী করবে, তা নিয়ে শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। কসবাকাণ্ডে অভিযুক্তদের যে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে শুক্রবার রাতে ওই আইন কলেজের এক রক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছেন ‘জে’ নামে। এ ছাড়া ‘এম’ এবং ‘পি’ নামের দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, প্রথমে ইউনিয়ন রুমের ভিতর তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা হয়। পরে রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন ‘জে’। বাইরে পাহারায় ছিলেন বাকি দু’জন। কলেজের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রীকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। রক্ষীর কাছে তিনি সাহায্য চেয়েও পাননি।