• ‘এম’-এর চাকরির সুপারিশ করিনি! কলেজকাণ্ডে আর কী বলছেন পরিচালন সমিতির সভাপতি, তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব
    আনন্দবাজার | ২৮ জুন ২০২৫
  • কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ধর্ষণ কাণ্ডে ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ‘এম’ নামে এক অভিযুক্ত। ওই কলেজেই অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। তিনি কী ভাবে চাকরি পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবের দাবি, তিনি ওই অভিযুক্তের চাকরির সুপারিশ করেননি।

    শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ওই অভিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীকে পরিচালন সমিতির রেজ়লিউশনের মাধ্যমে ৪৫ দিনের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে শনিবার সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’কে অশোক জানান, তিনি অভিযুক্তের চাকরির সুপারিশ করেননি। তাঁর বক্তব্য, অভিযুক্ত চাকরি পেলেন কি পেলেন না, সেটি কোনও বিষয় নয়। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটিই বিষয়।

    বস্তুত, শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষ জানান, অভিযুক্তদের এক জন ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসাবে ছিলেন।পরিচালন সমিতির রেজ়লিউশনের মাধ্যমে ৪৫ দিনের জন্য তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরিচালন সমিতির সভাপতিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কলেজের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। এই পরিস্থিতিতে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অশোকের দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    অশোক আরও জানান, ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগেও পদক্ষেপ করা হয়েছিল। অনেক দিন আগেই ওই অভিযুক্তের কলেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও অনেক দিন আগে বলতে কোন সময়ের কথা তিনি বলছেন, তা স্পষ্ট করেননি অশোক। তার পরে কেন আবার কলেজে প্রবেশ করতে পারলেন ওই অভিযুক্ত? পরিচালন সমিতির সভাপতির দাবি, পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছিল। তিনি বলেন, “চেঞ্জ হয়েছিল। মানুষ তো চিরদিন এক থাকে না। খারাপ থেকে ভাল, ভাল থেকে খারাপ হয়। যদি কেউ (সংশোধনের) সুযোগ পেয়েও সেটিকে কাজে না লাগাতে পারে, তাতে আমার তো করার কিছু নেই।” সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির কথায়, কোনও পরিচালন সমিতিই কখনও চায় না কলেজের সুনাম নষ্ট হোক। এই কলেজ থেকে পাশ করে অনেকে যে বড় বড় জায়গায় পৌঁছেছেন, তা-ও স্মরণ করিয়ে দেন অশোক।

    কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে শুক্রবার রাতে ওই আইনের কলেজের এক রক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছেন ‘জে’ নামে। এ ছাড়া ‘এম’ এবং ‘পি’ নামের দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, প্রথমে ইউনিয়ন রুমের ভিতর তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা হয়। পরে রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন ‘জে’। বাইরে পাহারায় ছিলেন বাকি দু’জন। কলেজের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রীকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। রক্ষীর কাছে তিনি সাহায্য চেয়েও পাননি।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)