• ২৮ জুলাই নবান্ন অভিযানের ডাক দিল শিক্ষক সমাজ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৯ জুন ২০২৫
  • আগামী ২৮ জুলাই ফের নবান্ন অভিযানের ডাক দিল শিক্ষক সমাজ। এর আগে গত ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল শিক্ষক সমাজের মিলিত সংগঠন। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের তরফে আশ্বাস পেয়ে ওই সময় কর্মসূচি স্থগিত করে দেন আয়োজকেরা। শিক্ষক সমাজের বক্তব্য, মৌখিক আশ্বাসের পরেও বিশেষ কিছু সুরাহা না হওয়ায় আবার নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ নবান্ন অভিযানে যোগ দেবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালে প্যানেল থেকে ‘যোগ্য’দের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা-সহ বিভিন্ন দাবিতে এই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক আশিস খামরই বলেন, ‘যত ক্ষণ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করছেন, তত ক্ষণ পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।’

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘আগামী ২১ জুলাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এবং অন্যান্য সব মঞ্চ মিলে বাংলার মেধা ও শ্রমের শহিদ দিবস পালন করব। সেই সঙ্গে ২৮ জুলাই নবান্ন চলোর ডাক দিচ্ছি। আমরা এরাজ্যের সেইসব মানুষকে এই অভিযানে সামিল হতে বলছি, যাঁরা মনে করেন, এই সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির জন্য আপনারাও বঞ্চিত হচ্ছেন। এই মুহূর্তে মোট ১২টি মঞ্চ এক হয়েছি। এরপর আরও মঞ্চ যুক্ত হবে।’

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে – বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে রাজ্যজুড়ে ৬ লক্ষ শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগ, দুর্নীতির কারণে যাঁরা চাকরি পায়নি, তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা, চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের কাজে ফেরানো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে দেড় লক্ষ শূন্যপদে নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ডিএ মেটানো। এছাড়া আরজি করের চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুন এবং দক্ষিণ কলতারা ল’ কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    গত এপ্রিলে ভবানী ভবন, লালবাজার এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে মঞ্চের নেতাদের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে পুলিশের শীর্ষকর্তারা মঞ্চের নেতাদের আশ্বাস দেন, তাঁদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে সরকারকে জানানো হবে। যদিও তাঁদের দাবিদাওয়া মানা হয়নি বলে দাবি মঞ্চের নেতাদের। আন্দোলনকারীরা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনও মৌখিক নির্দেশ নয়, সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনায় বসার বিষয়ে নবান্ন থেকে যদি লিখিত নির্দেশ আসে, তবেই তাঁরা সেই আলোচনায় বসবেন।

    মঞ্চের অপর আহ্বায়ক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলার বেকার মেধাযুক্ত যুবক যুবতীদের ন্যায্য চাকরি যে টাকার জন্য বিক্রি হয়ে গিয়েছে, সেই চাকরি পেতে চাই। আইন ব্যবস্থা মাকড়সার জালের মতো বিছিয়ে গিয়েছে, যা গরিবদের ক্ষেত্রে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠছে। সরকার কোনও রকম সমাধানের উদ্যোগ নেয় না। সরকার নিজেরাই দুর্নীতি করে নিজেরাই আইনের বেড়াজালে ফেলে বেকারদের রাস্তায় ফেলে রাখছে।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)