• স্বামী-বউমাদের অত্যাচারে জেরবার! ট্রেনের সামনে ঝাঁপ প্রৌঢ়ার! প্রাণ বাঁচাল ৪ যুবক
    প্রতিদিন | ২৯ জুন ২০২৫
  • ধীমান রায়, কাটোয়া: স্বামী ও দুই পুত্রবধূর নির্যাতনে জেরবার! মানসিক অবসাদে হয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করছিলেন প্রৌঢ়া। কার্যত চলন্ত ট্রেনের মুখ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে প্রাণ বাঁচালেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার গ্রামের চার যুবক। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বর্ধমান কাটোয়া রেলপথে ভাতার স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। পঞ্চাশোর্ধ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে ভাতার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই চার যুবক। তাঁদের এই কৃতিত্বের প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা।

    জানা গিয়েছে, ভাতার থানার ভাতার গ্রামের বাসিন্দা টিকলু প্রামাণিক, রাজকুমার বাউড়ি, অনুপ সর্দার এবং অনুপের আত্মীয় পানাগরের বাসিন্দা সঞ্জয় সর্দার এদিন নিজেদের কাজে ভাতার স্টেশনে গিয়েছিলেন। কাজ শেষে স্টেশনে দাঁড়িয়ে চা পান করছিলেন। তখন বর্ধমান থেকে কাটোয়ার দিকে যাচ্ছিল দুপুরের ট্রেনটি। ভাতার স্টেশন থেকে আড়াইটে নাগাদ ট্রেনটি ছাড়ার পরেই চার যুবক দেখতে পান ওই মহিলাকে উদ্ভ্রান্ত হয়ে কিছু করার চেষ্টা করছেন। রাজকুমার বলেন, “আমরা মহিলার পাশেই ছিলাম। ট্রেনের ইঞ্জিন ও একটি বগি পার হতেই মহিলা ঝাঁপ দিতে যান। তখনই ধরে ফেলি।”

    জানা গিয়েছে, মহিলার বাড়ি ভাতারের কাপশোর গ্রামে। দু’সপ্তাহ আগে তাঁর হৃদযন্ত্রের অপারেশন হয়েছিল। অভিযোগ, মহিলার স্বামী ও দুই পুত্রবধূ তাঁকে নির্যাতন করে। এদিন সকালেও মারধর করেছে বলে অভিযোগ। আর মার খাওয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে ভাতার স্টেশনে পৌঁছন তিনি। ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা ছিল। মহিলাকে পুলিশের কাছে পৌছে দেন ওই চার যুবক। পুলিশ তাঁকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করছে বলে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)