রাগ করে বাপের বাড়ি! বউয়ের মান ভাঙাতে হরিণঘাটায় পোস্টার হাতে ধরনায় যুবক
প্রতিদিন | ২৯ জুন ২০২৫
সুবীর দাস, কল্যাণী: স্ত্রীকে ফেরানোর দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন স্বামী। স্ত্রীকে ফিরিয়ে না দিলে তিনি উঠবেন না, এই রকম প্ল্যাকার্ড হাতে বসে রয়েছেন তিনি। ঘটনাটি হরিণঘাটা থানার নগরউখড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিকরা এলাকার। ঘটনায় শোরগোল এলাকায়।
বছর খানেক আগে নগরউখড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের এলাকার বাসিন্দা জ্যোতি দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই এলাকার ছেলে সুমন ধরের। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর জ্যোতির পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তবে কয়েকমাস পর সুমনকে জামাই হিসাবে মান্যতা দেয় জ্যোতির পরিবার।
অভিযোগ, তারপর থেকে সমস্যার শুরু। নববধূর উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। জ্যোতি বিষয়টি তাঁর বাড়িতে জানাতেই তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যান বাবা-মা। তারপর থেকে যুবতীর নিরাপত্তার কথা ভেবে আর স্বামীর কাছে ফেরত পাঠায়নি তাঁর পরিবার।
এর মাঝে স্ত্রীকে নিজের কাছে ফেরত পেতে কয়েকবার চেষ্টা করেন সুমন। জ্যোতির পরিবার রাজি হলেও জামাইকে বলেন তাঁর বাবা-মাকে নিয়ে আসতে। কথা বলার পরই তাঁরা মেয়েকে ছাড়বেন। কিন্তু সুমনের বাড়ির লোক সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বলে দাবি। তাতেই মধ্যস্থতা ভেস্তে যায়।
এদিকে নিজের ভুল স্বীকার করে শ্বশুরবাড়ির সকলের কাছে ক্ষমা চান সুমন। কিন্তু তাতেও রাজি না হওয়ায় শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেন সুমন। যা শনিবার সকালে নজরে আসে এলাকার মানুষের। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
সুমনের কথায়, উভয় পরিবারের কমবেশি দোষ রয়েছে। নিজের ভুলও স্বীকার করে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি। তাঁর একটাই দাবি স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তার জন্য যা যা করার দরকার তিনি তা করতে রাজি বলে জানিয়েছেন। এমনকী নিজেদের আলাদা সংসার করার হলেও তাতে তিনি রাজি। অন্যদিকে, স্বামীর ডাকে সাড়া দিয়ে জ্যোতি ফিরে যেতে চাইলেও নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। তাঁর দাবি শ্বশুরবাড়ির লোকজন গিয়ে তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বললে তাহলেই সে ফিরে যাবে শ্বশুরবাড়িতে।