• অফিস থেকে উদ্ধার কর্মীর ঝুলন্ত দেহ, চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানে
    এই সময় | ২৯ জুন ২০২৫
  • পূর্ব বর্ধমানে একটি বেসরকারি অফিস থেকে উদ্ধার হলো এক কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম অঙ্কুশ শীল (২৩)। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে কর্মীরা অফিসে গিয়ে প্রথম অঙ্কুশকে ওই অবস্থায় দেখেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে আসে আউশগ্রাম থানার পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রের খবর, অঙ্কুশের বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের কেঁচুয়াডাঙায়। শুক্রবার রাতে কর্মীরা অফিসে ঢুকে দোতলা থেকে প্রথম অঙ্কুশকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। অফিসের কর্মীরা এ দিন রাতেই পরিবারকে খবর দেয়। অভিযোগ, শনিবার সকালে পরিবারের লোকেরা সেখানে পৌঁছে অন্যান্য কর্মীদের কাছ থেকে জানতে পারে অফিসের প্রচন্ড চাপ সহ্য করতে না পেরে অঙ্কুশ আত্মহত্যা করেছেন।

    অভিযোগ, এর পরই অঙ্কুশের পরিবারের লোকেরা অফিস চত্বরে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও পরিবারের লোকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পরিবারের দাবি, অঙ্কুশের জামার পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। সেখানে তিনি কোম্পানির প্রতি ক্ষোভ উগরে অনেক কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে অফিসে তাঁর উপর যে মানসিক চাপ দেওয়া হতো, সেই কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন।

    অঙ্কুশের দাদা সুদীপ শীল বলেন, ‘শুক্রবার রাতে অফিসের একজন স্টাফ ফোন করে জানায় যে ভাই আত্মহত্যা করেছে। আমরা শনিবার সকালে এখানে আসি। এসে দেখি ওর অফিসের ম্যানেজার-সহ উচ্চপদস্থ কর্মীরা কেউ সেখানে নেই। একটি সুইসাইট নোট পাওয়া গিয়েছে। ও কোম্পানির কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। ওরা ওকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

    তবে মৃত্যুর আসল কারণ কী তা এখনও জানা যায়নি। এ দিকে অফিসের কেউ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ জমা হয়নি। অভিযোগ পেলেই পূর্ণাঙ্গভাবে তদন্ত শুরু করা হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)