• আংরাভাসা নদীতে বাঁধের কাজ নিয়ে সরব বাসিন্দারা
    বর্তমান | ২৯ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: নদীবাঁধের কাজ অর্ধসমাপ্ত রেখে ঠিকাদার সংস্থার লোকজন বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এবার বর্ষায় তাই ফের ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটছে গয়েরকাটা চা বাগানের শ্রমিকদের। যদিও সেচদপ্তরের দাবি, শিডিউল মেনেই ওই বাঁধের কাজ হয়েছে।  

    বর্ষা শুরুর ঠিক আগে সেচদপ্তরের তরফে গয়েরকাটা চা বাগানের শ্রমিক মহল্লার বিঘা লাইনে আংরাভাসা নদীতে ৩০-৩৫ মিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী শুরু হয়েছিল কাজও। কিন্তু দেখা যায় বোল্ডার বাঁধ নির্মাণ হলেও ব্যবহার করা হয়নি লোহার তারজালি। ফলে বাঁধের টেকসই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বর্ষাকালে আংরাভাসা নদীতে যে প্রবল স্রোত থাকে, তাতে শুধু বোল্ডারের বাঁধ নিমেষেই ভেসে যেতে পারে। 

    স্থানীয় বাসিন্দা সুমন লাকড়া বলেন, নির্মাণকারী সংস্থা ও সেচদপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু তারজালি ব্যবহার না করে এভাবেই ফেলে রেখে দিয়ে চলে যায় বরাত পাওয়া এজেন্সি। বাঁধ হলেও আমাদের আতঙ্কেই রাত কাটাতে হচ্ছে। 

    বর্ষায় আংরাভাসার প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বিগত বছরগুলিতে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হতে হয়েছে বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা চা বাগানের বিঘা লাইন ও টিন লাইনের বেশকিছু শ্রমিককে। ২১টি শ্রমিক আবাস বিগত দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এনিয়ে আন্দোলনের পরে কোটি টাকা ব্যয়ে বিঘা লাইনে বাঁধ নির্মাণ করে সেচদপ্তর। তবে সেসময় ২০-২৫ মিটারে বাঁধ নির্মাণ হয়নি। এ বছর সেই অর্ধসমাপ্ত নদীবাঁধ নির্মাণে উদ্যোগ নেয় সেচদপ্তর। কাজও হয়। অভিযোগ, তারজালি না দিয়ে শুধু বোল্ডার দিয়ে কাজ করে চলে গিয়ে ঠিকাদার সংস্থা। এ প্রসঙ্গে সেচদপ্তরের বানারহাট মহকুমা আধিকারিক গৌরব ভৌমিক বলেন, ঠিকাদার সংস্থা শিডিউল অনুযায়ী কাজ করেছে। ‘লুস অ্যাপ্রন’ বাঁধ এভাবেই করা হয়ে থাকে। এলাকাবাসীকে বিষয়টি বুঝতে হবে। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)