• মন্ত্রী থাকাকালীন জাত, ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করে হেনস্তা করেছে বিজেপি, বিস্ফোরক বারলা
    বর্তমান | ২৯ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মন্ত্রী থাকাকালীন দিল্লিতে ডেকে জাত, ধর্ম নিয়ে বারবার প্রশ্ন করে হেনস্তা করেছে বিজেপি। তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য জন বারলার। শনিবার জেলা তৃণমূলের ডাকে জলপাইগুড়ি শহরের আর্ট গ্যালারিতে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা হয়। সেখানে যোগ দেন সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বারলা। সেই অর্থে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার পর এদিনই প্রথম তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এবং সমস্ত শাখা সংগঠনের নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রথম ভাষণ দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এদিন বিজেপি বিরোধিতার সুর সপ্তমে চড়ান তিনি। বলেন, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বাংলার মানুষের সর্বনাশ হবে। সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠবে। 

    এরপরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বারলা। বলেন, আমি অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী থাকাকালীন দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কোন সম্প্রদায়ের? কবে থেকে ওই সম্প্রদায়ের হলেন? একবার নয়, একাধিকবার এমন হয়েছে। বিজেপি নেতাদের মুখে সেসব প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মানুষের জাত, ধর্ম, সম্প্রদায় কি জানতে চাওয়ার বিষয়? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ধর্ম জানতে চান না! কে, কী খাবেন, কী পরবেন তা তো তিনি ঠিক করে দেন না।  

    মন্ত্রী থাকাকালীন বিজেপির নেতারাই তাঁকে উন্নয়নের কাজ করতে দেননি বলে এদিন তোপ দাগেন বারলা। বলেন, কেন্দ্রে যে সরকার চলছে, সেটা হল শুধু ঘোষণা করার। একটা প্রকল্প ঘোষণা করে দিয়েই দায়িত্ব শেষ তাদের। বাস্তবায়নের কোনও উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার। 

    এরপরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প সফলভাবে রূপায়ণ করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ডুয়ার্সে বিজেপিকে শূন্য করে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নেন বারলা। বলেন, আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির চা শ্রমিক সংগঠন ভাঙছে। অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ছাব্বিশের ভোটে বিজেপি ডুয়ার্সে চা বলয়ে ফিনিশ হয়ে যাবে। 

    এদিন বারলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা। তিনি বলেন, বারলাকে দিল্লিতে ডেকে বিজেপির কে, কবে জাত, ধর্ম জানতে চেয়েছেন বলতে পারব না। তবে এটা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। মনে হয়, বিজেপিতে টিকিট না পাওয়া, দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হতে না পারার ব্যথা এখনও ভুলতে পারেননি তিনি। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)