• ভাঙা রাস্তা দেখে ভেঙে যাচ্ছে বিয়ে ‘মানহানি’ পূর্ব মান্দাপাড়ার বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ২৯ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তপন: বেহাল রাস্তার কারণে ভেঙে যাচ্ছে বিয়ে! একের পর এক এরকম ঘটনায় এলাকায় ‘মানহানি’ হচ্ছে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।

    বারবার এমন হওয়ায় বিড়ম্বনায় তপনের পূর্ব মান্দাপাড়ার বাসিন্দারা। রাস্তা পাকা করার জন্য প্রশাসনকে তাঁরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শেষে নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তা সারালেন গ্রামবাসীরা।

    বিয়ে ঠিক হওয়ার আগেই ভেঙে যাচ্ছে শুধু বেহাল রাস্তার কারণে। এমনই চিত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ১ নম্বর রামপাড়া চেঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্ব মান্দাপাড়া গ্রামে। ১৫০ মিটার কাঁচা রাস্তা পাকার করার জন্য বছরভর প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সমাধান মেলেনি। সেই অস্বস্তি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল সরকার। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি এক বিয়েতে বুনিয়াদপুর থেকে ছেলেপক্ষ আমার নাতনিকে দেখতে এসেছিল। কিন্তু জলকাদা জমে থাকা রাস্তার জন্য গ্রামের ভিতরে গাড়ি ঢুকতে পারেনি। তাঁদের হেঁটে আসতে হয়। মেয়েকে পছন্দ হলেও গ্রামের এই রাস্তা দেখে ছেলেপক্ষ আর এগয়নি।

    পূর্ব মান্দাপাড়া গ্রামের রাস্তা কাদা ও বড়, বড় গর্তে ভরা। বর্ষায় সেখানে হাঁটাও দুষ্কর। গাড়ি তো দূরের কথা, বাইক নিয়ে যেতে গিয়েও পড়তে হয় বিপদে। শেষে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই উদ্যোগ নেন। শুক্রবার ও শনিবার গ্রামের মানুষজন চাঁদা তুলে আনেন বালি। মেরামত করেন রাস্তাটি। আপাতত চলাচলের মতো করে তোলা হয়েছে। তবে এই সমাধান স্থায়ী নয় বলে দাবি তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দা মিন্টু দাস বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা  ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে না। বর্ষায় কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না। কিন্তু এসব জানালেও গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন কোনও কাজ করেনি।

    এ বিষয়ে রামপাড়া চেঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী রায়কে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে, তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণা বর্মন বলেন, রাস্তাটি আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করব। খুব জরুরি মনে হলে পঞ্চায়েত সমিতির স্কিমের টাকা থেকে টেন্ডার করে রাস্তাটি করা হবে। প্রশাসনের এই প্রতিশ্রুতি গ্রামবাসীদের কাছে নতুন কিছু নয়। তাঁদের দাবি, বারবার এমন আশ্বাস মিলেছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে, এবার প্রশাসন কত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে তাঁরা।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)